নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি আইপিএল-এ শনিবার ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্স মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। লিগের শেষ ম্যাচে মাত্র ১ রানে হারল নীতিশ রানার দল। ম্যাচ জিতে প্লে-অফে জায়গা পাকা করে নিল ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার লখনউ সুপার জায়ান্টস।
শনিবার লখনউ-এর বিরুদ্ধে চলতি গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচটা নাইটদের কাছে প্লে-অফে যাওয়ার একটা শেষ সুযোগ ছিল। ম্যাচটা যদি নাইটরা বড় ব্যবধানে হারাতে পারত এবং আগামীকাল আরসিবি ও মুম্বইকে হারতে হত, তবেই সুযোগ মিলত। অঙ্কটা অনেকটা কঠিন। তবুও বিকেল গড়াতেই গোটা বটতলাজুড়ে চোখে পড়েছিল নাইট ভক্তদের উল্লাস। তাঁরা আশা করেছিলেন ম্যাচে জয় নিয়েই হয়তো বাড়ি ফিরতে পারবেন। না, তা আর হল না। হবে কি করে। যে ম্যাচে জ্বলে ওঠার দরকার সেই ম্যাচেই তো নাইটদের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হন। একা রিঙ্কু আর কত টানবেন দলকে। তাঁর তো একটা সীমা আছে।
যাই হউক ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্লে-অফে যাওয়ার চিন্তা তাদের ছিল না। কাজেই অনেকটা ফ্রি মুডেই খেলতে নামে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ারা। কিন্তু শুরুটা তাঁদেরও ভালো হয়নি। কুইন্টিন ডি কক , ম্যানকেড, বাদনি এবং সব শেষে নিকোলাস পুরাণ যদি অর্ধ্বশতরানটা না করতে পারতেন, তাহলে আজকে হয়তো নাইটরা ম্যাচটা জিতেও যেতে পারত। তবুও নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৭ রানের টার্গেট নাইটদের সামনে দিয়েছিল লখনউ।
লখনউ-এর মতো নাইটদের ব্যাটিং-এর শুরুতেই ধ্বস নামেনি। জেসন বয়, ভেঙ্কটেশ আইয়াররা ঠিকঠাকই ব্যাটিং শুরু করেছিলেন, তবে তা দীর্ঘায়িত হয়নি বেশিক্ষণ। জেসন ৪৫ এবং ভেঙ্কটেশ ২৪ রানে ফিরে যেতেই যেন নাইটদের ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামে। সেই তালিকায় রয়েছেন নীতিশ রানা থেকে শুরু করে গুরবাজ, আন্দ্রে রাসেলরা।
তবুও রিঙ্কুর ওপর একটা আশা ছিল নাইট সাপোর্টারদের। কিন্তু দুঃখের বিষয় রিঙ্কু একাই লড়াই করলেন। এই অবস্থাতেও নিজের হাফ সেঞ্চুরিটাও পূর্ণ করে ফেলেন তিনি। অপরাজিত থাকলেন ৬৭ রানে। রিঙ্কু বাদে বাকিরা আয়ারাম আর গয়ারাম হলে আর যাই হোক ম্যাচ জেতা যায় না। যদি কেউ আর ২ রান করে যেতেন তবেই ম্যাচ পকেটে পুড়ে নিত নাইটরা। কিন্তু তা হল না। ১৭৫ রানে এসে থেমে গেলেন নাইটরা। তাই ব্যর্থ মনোরথেই শনিবার চলতি আইপিএল-এ লখনউ-এর কাছে পরাজয় মেনে কার্যত বিদায় নিল নাইটরা।