নিজস্ব প্রতিনিধি: আইপিএল (IPL)-এর ২৬তম ম্যাচে বুধবার রাজস্থান রয়্যালস-এর মুখোমুখি লকনউ সুপার জায়ান্টস। সাপ-লুডোর খেলা চলা লিগ টেবিলে বর্তমানে দুই দলের অবস্থান হচ্ছে ১ ও ২। সঞ্জু স্যামসনরা রয়েছে এক নম্বর স্থানে। আর কেএল রাহুলের দল রয়েছে দুই নম্বর স্থানে। অর্থ্যাৎ এক দলের কাছে বুধবারের ম্যাচ শীর্ষস্থান ধরে রাখার লড়াই। আর এক দলের কাছে শীর্ষস্থানে যাওয়ার লড়াই। হাড্ডাহাড্ডি এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে জয়পুরের মানসিং স্টেডিয়ামে।
রাজস্থান রয়্যালস আর লকনউ-এর ম্যাচ দিয়েই চলতি আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচটি বুধবার অনুষ্ঠিত হবে এই মানসিং স্টেডিয়ামে।এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই স্টেডিয়ামে। এই মাঠের পিচ রিপোর্ট অনুযায়ী দ্বিতীয় অধ্যায়ে ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধা দিতে পারে। এবং স্পিনাররাও ভালো সুবিধা পাবেন। তাই বুধবারের ম্যাচে টস যিনি জিতবেন তাঁর প্রথম বোলিং নেওয়াই সুবিধা হবে বলে মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।
কেএল রাহুলদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে গুজরাটকে হারিয়েছে রাজস্থান । এবং চলতি আইপিএল-এ রাজস্থান দলটা সব দিক থেকে সবাইকে সব বিভাগেই টেক্কা দিয়েছে। ব্যাটার হিসেবে যশস্বী, বাটলার সঞ্জু, দেবদূত পাড়িক্কলরা থাকলেও, ওপেনার দুজন ব্যাটাসম্যানেরই ওপর রাজস্থান দলটা ব্যাটিং-এ নির্ভরশীল। কেননা দুই ব্যাটসম্যান যশস্বী ও বাটলার দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন চলতি আইপিএল-এ। সঞ্জু মাঝে মাঝে রান পেলেও ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে তাঁর মধ্যে। একই কথা প্রযোজ্য দেবদূতের ক্ষেত্রেও। তবে শেষ ডাউনে হেটমেয়ার পিঞ্চ হিটার হওয়াতে আরও একটি বাড়তি অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে রাজস্থান।
ব্যাটিং-এর মতো বোলিং বিভাগটাও যথেষ্ট শক্তিশালী রাজস্থান দলে। ভারতের দুই অভিজ্ঞ বোলার যুজবেন্দ্র চাহাল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন থাকায় বিপক্ষ দলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকছে সঞ্জুর দল। কেননা দুইজনই যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং দুজনেই ছন্দে রয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছেন জেসন হোল্ডার, অ্যাডাম জাম্পার মতো বোলাররা। কাজেই সব বিভাগেই বিপক্ষককে টেক্কা দেওয়ার রসদ মজুত রয়েছে সঞ্জুর দলে।
অন্য দিকে, কেএল রাহুলের দলটাও ব্যাটিং-এ দলনেতা নিজে, মেয়ার্স, নিকোলাস পুরাণরা থাকলেও ধারাবাহিকতার অভাব থাকছে। তার ফলে মাঝে মাঝেই ছন্দ পতন ঘটছে. তবে আগের ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে দলনেতা রাহুল যে ছন্দে ব্যাট করেছেন বুধবার যদি তা ধরে রাখতে পারেন, তাহলে কিন্তু রাজস্থানের বিপক্ষে একটা ভালো লড়াই হবে বলেই আশা। তবে রাহুলকে একা নয়, সঙ্গে যোগ্য সহযোগিতা করতে হবে নিকোলাশদেরও।
রাজস্থানকে হারাতে গেলে ব্যাটিং-এর পাশাপাশি রাহুল-এর দলের বোলারদেরও ছন্দে থাকতে হবে। যেহেতু পিচ স্পিন সহায়ক হবে বলেই জানা যাচ্ছে কাজেই রবি বিষ্ণোইদের কাছে সেরা পারফরম্যান্সটাই পাওয়ার আশা করা যায়। সতুরাং সব দিক থেকেই বলা যায় বুধবারের ম্যাচেও লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
