নিজস্ব প্রতিনিধি: গত শুক্রবার উত্তর কলকাতার(North Kolkata) পাথুরিয়াঘাটা(Pathuriaghata) স্ট্রিটের একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে দু’জন আটকে পড়েন। পুলিশ, পুরনিগম, বিদ্যুৎ সংস্থা সিইএসসি-র কর্মীরা ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় তাঁদের উদ্ধার করেন। কিন্তু তারপর সময় যতই গড়িয়েছে ততই চোখ কপালে উঠেছে পুলিশ থেকে পুরনিগমের আধিকারিকদের। কেননা বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনার পরে পরেই কলকাতা পুরনিগমের তরফে ওই এলাকায় সমীক্ষা চালানো হয় কোন কোন বাড়ি নিরাপদ আর কোন কোন বাড়ি বিপজ্জনক তা খুঁজে বের করতে। দেখা যায়, কলকাতা পুরনিগমের(KMC) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা ওই এলাকার ১০৮টি রীতিমত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। তাতে মানুষের বসবাসও আছে। সেগুলি যে কোনও দিন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে। এই অবস্থায় পুরনিগমের আধিকারিকেরা ওই ১০৮টি বাড়িকে বিপজ্জনক(Dangerous House) বলে চিহ্নিত করে দিলেও সেখান থেকে কাউকে ওঠাতে পারেননি। ফলে আগামী দিনে উত্তর কলকাতার অন্তত পাথুরিয়াঘাটা এলাকায় বাড়ি ভেঙে প্রাণহানীর ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
কলকাতা পুরনিগমের আধিকারিকদের দাবি, শুধু পাথুরিয়াঘাটা এলাকাই নয়, উত্তর এবং মধ্য কলকাতার অলিগলিতে ঢুঁ মারলে এইরকম শয়ে শয়ে বাড়ি চোখে পড়বে। সেই সব বাড়িতে এখনও মানুষের বসবাসও চোখে পড়বে। বার বার বলা সত্ত্বেও সেই সব বাড়ির বাসিন্দারা সেখান থেকে সরে যেতে চাননি। কার্যত প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা সেখানে রয়ে গিয়েছে। আবার কিছু বাড়ির শরিকি বিবাদও আছে। এই অবস্থায় কলকাতা পুরনিগমের তরফে শহরের সব কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিজ নিজ ওয়ার্ডের বিপজ্জনক বাড়ি খুঁজে তা পুরনিগম কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে। কার এলাকায় কতগুলি বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে, দ্রুত রিপোর্ট আকারে তা জানাতে হবে সব পুরপ্রতিনিধিকে। এই বিষয়ে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) জানিয়েছেন, ‘বিপজ্জনক বাড়ি শহরের অন্যতম বড় সমস্যা। সাধারণ মানুষকেই এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। তবে শহরের বিপজ্জনক বাড়ি ধরে ধরে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিচ্ছি পুরপ্রতিনিধিদের।’