নিজস্ব প্রতিনিধি : আসন্ন লোকসভা ভোটে ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। গত লোকসভা ভোটের সঙ্গে এবারের লোকসভা ভোটে প্রার্থী তালিকার তুলনামূলক বিচার করলে দেখা যাবে, এবারে ২৭ জন নতুন মুখকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এদের মধ্যে রাজনীতির জগত থেকে আসা ব্যক্তিত্বরা যেমন রয়েছেন, তেমনি খেলা ও সিনেমা জগত থেকে আসা ব্যক্তিত্বরাও রয়েছেন।
এবারে উত্তরবঙ্গে সবকটি কেন্দ্রে নতুন মুখ দিয়েছে তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন পরেশচন্দ্র অধিকারী। এবারে এই কোচবিহার কেন্দ্রে প্রার্থী হলেন জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন দশরথ তিরকে। এবারে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হলেন প্রকাশ চিক বরাইক। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন বিজয়চন্দ্র বর্মন। তবে এবারে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হলেন ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়। দার্জিলিংয়ে ২০১৯ সালে তৃণমূলের অমর সিং। তবে এবারে প্রার্থী হলেন গোপাল লামা। রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ২০১৯ সালে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে লড়েছিলেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তবে এবারে এই কেন্দ্রে কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রার্থী করা হয়েছে। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৯ সালে প্রার্থী হয়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। তবে এবারে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লব মিত্র। পাশাপাশি মালদহ উত্তর কেন্দ্রে ২০১৯ সালে তৃণমমূল প্রার্থী করেছিল মৌসম বেনজির নুরকে। তবে এবারে প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একইসঙ্গে মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে ২০১৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল মোয়াজ্জেম হোসেনকে। তবে এবারে তার পরিবর্তে নতুন মুখ শাহনওয়াজ আলি রহমানকে প্রার্থী করা হয়েছে।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য বেশ কয়েকজন পুরনো মুখ রাখলেও কয়েকটি আসনে নতুন মুখ নিয়ে আসা হয়েছে। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে ২০১৯ সালে খলিলুর রহমানকে প্রার্থী করা হয়েছিল। এবারেও এই কেন্দ্রে তাঁকেই প্রার্থী করা হয়েছে। বহরমপুর কেন্দ্রে ২০১৯ সালে প্রার্থী করা হয়েছিল অপূর্ব সরকারকে। তবে এবারে প্রার্থী করা হয়েছে ইউসুফ পাঠানকে। অন্যদিকে বনগাঁ কেন্দ্রে ২০১৯ সালে প্রার্থী করা হয়েছে মমতাবালা ঠাকুরকে। তবে এবারে প্রার্থী করা হয়েছে বিশ্বজিৎ দাসকে। পাশাপাশি বারাকুপুর কেন্দ্রে দীনেশ ত্রিবেদীর বদলে এবারে তৃণমূল প্রার্থী করেছে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে। অন্যদিকে বসিরহাট, যাদবপুর, হুগলি কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করা হয়েছে। বসিরহাট কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে হাজি নরুল ইসলামকে। যাদবপুরে সায়নী ঘোষ ও হুগলি কেন্দ্রে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা হয়েছে। পাশাপাশি আরামবাগ কেন্দ্রে অপরূপা পোদ্দারের বদলে মিতালি বাগকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অধিকারীদের গড় তমলুক ও কাঁথি কেন্দ্র থেকেও প্রার্থী বদল করা হয়েছে। তমলুকে প্রার্থী করা হয়েছে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে ও কাঁথিতে প্রার্থী করা হয়েছে উত্তম বারিককে।
ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরেও প্রার্থী বদল করা হয়েছে। ঝাড়গ্রামে এবারে প্রার্থী করা হয়েছে কালীপদ সোরেনকে। মেদিনীপুরে প্রার্থী করা হয়েছে জুন মালিয়াকে। অন্যদিকে বাঁকুড়ায় অরূপ চক্রবর্তী ও বিষ্ণুপুরে সুজাতা খাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। পাশাপাশি বর্ধমান পূর্বে সুনীল মণ্ডলের বদলে এবারে তৃণমূল প্রার্থী করেছে ডঃ শর্মিলা সরকারকে। সেইসঙ্গে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে কীর্তি আজাদকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল।