নিজস্ব প্রতিনিধি : নিজের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে সোমবার বিজেপির উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বজবজের সভা থেকে অভিষেক জানান, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে থাকুন বা না থাকুন, আমার কাজ সকলের হৃদয়ে থাকবে।‘
এদিন চড়িয়াল ব্রিজের উদ্বোধন উপলক্ষে বজবজের একটি সভায় উপস্থিত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কেন্দ্রকে নিশানা করে অভিষেক জানান, ‘গত দশ বছরে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে যে কাজ হয়েছে, তা অন্য কোথাও হয়নি। এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এমনকি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কেন্দ্রেও না। যদি কেউ করে দেখাতে পারে তাঁর কেন্দ্রে কাজ হয়েছে, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।‘ একইসঙ্গে একশো দিনের কাজের বিষয়েও অভিষেক কেন্দ্রকে নিশানা করে জানান, ‘একশো দিনের কাজে টাকা বাকি আছে। বাজারের দর, জ্বালানির দাম বেড়ে যাচ্ছে। আধার কার্ড আর প্যান কার্ড লিঙ্ক করার নামে হাজার হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের সরকার লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের নামে এক হাজার টাকা করে দিচ্ছে। একদিকে দিদি দিয়ে যাচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে মোদী নিয়ে যাচ্ছে।‘ একইসঙ্গে অভিষেক জানান, একশো দিনের কাজের টাকা আদায়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন বার কথা বলেছেন। আমাদের মহিলা সাংসদদের দিল্লি থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি বাংলায় হেরে গেছে বলে বাংলার টাকা আটকে রেখেছে।
এদিন অভিষেক এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে জানান, ‘কেন্দ্রের জমিদারি বন্ধ করব। সারাদিনে দশটা ইডি রেড করুন। তাত আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু কেন্দ্র আগে বকেয়া টাকা মেটাক। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। আমার যতটুকু কাজ করার তা করে গেলাম।‘
এদিন চড়িয়াল ব্রিজের উদ্বোধন প্রসঙ্গে অভিষেক জানান, পাঁচ দশকের বেশি এই চড়িয়াল ব্রিজের দাবি ছিল। গত ৩৪ বছরে বাম শাসনের সময় কত বড় বড় নেতা এখানে এসেছেন। কিন্তু কেউ সমস্যা সমাধান করেনি। গত ৫৬ বছরে কেউ এই বিষয়ে মাথা ঘামায়নি। শেষ পর্যন্ত এই চড়িয়াল ব্রিজের উদ্বোধন হল। এর ফলে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ মানুষ এর ফলে উপকৃত হবেন। একইসঙ্গে মহেশতলায় ৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে জল প্রকল্প উদ্বোধনের কথা জানান অভিষেক। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ছয় দিন পর মহেশতলায় আসব জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করতে। এর ফলে লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবেন।