এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

লক্ষ কন্ঠের লক্ষ্যপূরণ বহু দূরে, ভিড় ৫০ হাজারের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বার বার দাবি করা হচ্ছিল, লক্ষেরও বেশি মানুষের জমায়েত হবে। প্রধানমন্ত্রী এলে ৩-৪ লক্ষ লোক হবে। কলকাতা(Kolkata) অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। যদিও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী রিপোর্ট দিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী এলেও লক্ষ মানুষের জমায়েতের লক্ষ্যপূরণ সম্ভব নয়। আর তারপরে পরেই কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে(Brigade Parade Ground) ‘লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) যোগদান বাতিল হয়ে যায়। যদিও অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে এদিন ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠান। যদিও সবার চোখ ছিল এদিনের অনুষ্ঠানে লক্ষ মানুষের জমায়েতের লক্ষ্য পূরণ হয় কিনা তা দেখার জন্য। কেননা গোটা অনুষ্ঠানটি সফল করে তুলতে পিছনে পড়ে ছিল বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP)। দিন শেষে বেসরকারি মতের দাবি ভিড় ছিল হাজার ৫০’র। বিজেপি নেতাদের দাবি ভিড় ছিল ৬০ হাজারের আশেপাশে।

দিন কয়েক ধরেই সাজো-সাজো রব ছিল কলকাতায়। নানা রঙে সেজে উঠছিল ব্রিগেড। বড়দিনের আগে রবিবার ছিল কলকাতায় এক বড় ইভেন্ট। অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর গরহাজিরা আগেই তার উজ্জ্বলতা কেড়ে নিয়েছিল। বাকি যেটা দেখার ছিল তা হল ভিড় ঠিক কত হয়। কেননা ধর্মতলার শাহি সভা সুপারডুপার ফ্লপ হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, বিজেপি থেকে কী বাংলার মানুষ মুখ ঘোরাতে শুরু করে দিয়েছে? এর উত্তর এদিনের অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া যেতে পারে এমন একটা মনোভাব ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু দেখা গেল, লক্ষ কন্ঠের লক্ষ্যপূরণ অধরাই থেকে গিয়েছে। বার বার নানা সংবাদমাধ্যমের ড্রোন শট তা তুলেও ধরেছে। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ১ লক্ষেরও বেশি মানুষের ভিড় হয়েছিল ব্রিগেডের মাঠে। যদিও বাস্তবের হিসাব তা বলছে না। বিজেপি নেতাদেরই দাবি, ভিড় হয়েছিল ৬০ হাজারের আশেপাশে। অর্থাৎ এই অনুষ্ঠানটিও ফ্লপ শো না হলেও হিট নয়।

ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠানে আয়োজনের দায়িত্বে ছিল সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ, মতিলাল ভারততীর্থ সেবা মিশন আশ্রম এবং অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের একাধিক সংগঠন। তবে রাজ্যের শাসক দলের দাবি, এটা বিজেপিরই কর্মসূচি ছিল। এদিনের অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির এক ঝাঁক নেতা-নেত্রীকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল মায় তথাগত রায়ও ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য দয়ানন্দ সরস্বতী। মূল মঞ্চে ছিল তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। এছাড়াও এদিন ব্রিগেডে এসেছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি। গীতার পাঁচটি অধ্যায় এদিন পাঠ করা হয় ব্রিগেডে। জমজমাট এই অনুষ্ঠানে নজরুল গীতিও গাওয়া হয়। অনুষ্ঠানের জন্য এদিন গোটা ব্রিগেডকে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে মোট ২০টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের কথা অনুযায়ী, প্রতিটি ভাগে ৫ হাজার জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সব ভাগের সামনের দিকের অংশগুলি ভরলেও পিছনের দিকগুলি কার্যত খালিই ছিল।

তবে এদিনের অনুষ্ঠানের ভিড় ও যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল(TMC)। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) এদিন দাবি করেছেন, ‘লক্ষাধিক কণ্ঠে নয়। মাত্র ৩ হাজার ৭৫০ জনের জমায়েত হয়েছিল। আমরাও গীতাকে শ্রদ্ধা করি। রাজনীতিতে না পেরেই কখনও রাম, কখনও গীতার আশ্রয় নেয় বিজেপি। এটা লোক দেখানো কর্মসূচি। রুটি, কাপড়, বাড়ি না দিতে পেরে এইসব করছে ওরা। অমিত শাহ এসে দেখে গিয়েছিলেন সভায় লোক হয়নি। ব্রিগেডে লোক ভরবে না জেনেই প্রধানমন্ত্রী আসেননি। এদেশে মন্দির, মসজিদ, গির্জা সব আছে। সবকিছুকেই শ্রদ্ধা করা হয়। কিন্তু তাতে তো বেকারত্ব মেটে না। তাই তা নিয়ে রাজনীতি করাও চলে না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে পিটিয়ে খুন, নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

‘সন্দেশখালি বিজেপি করেছে, সিপিএম আর কংগ্রেস ধুনো দিয়েছে’, দাবি কুণালের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর