নিজস্ব প্রতিনিধি: এটা কোন রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। আন্দোলন বা অধিকার দখলের প্লাটফর্ম নয়। তবুও দুজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যখন কানে কানে কোন কথা বলেন তখন বুঝে নিতে হয় কিছু শলা পরামর্শ তো চলছেই। শিখা মিত্রের মন্তব্যে অধীর চৌধুরীকে হাসিমুখে সম্মতি জানাতেও দেখা যায়।এই ঘটনাস্থল শুক্রবার কলকাতা মহানগরীর বুকে। উত্তর কলকাতার আমহার্ট স্ট্রিটে কালীপুজোর উদ্বোধনে হাজির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পুজোর উদ্যোক্তা তৃণমূল নেত্রী শিখা মিত্র(Sikha Mitra)। প্রাক্তন চৌরঙ্গীর বিধায়ক। এই পুজোর উদ্যোক্তা এক সময় ছিলেন সৌমেন মিত্র।
এখন তার সহধর্মিনী এই পুজোকে দায়িত্ব নিয়ে প্রতিবছর করছেন। সেই পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে একই মঞ্চে আসন গ্রহণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী(Adhir Ranjan Chowdhury)। ফলে ক্যামেরা ম্যানদের লেন্স তাক করে রইলো কালীপুজোর মূল মন্ডপের উল্টো দিকের উদ্বোধনী মঞ্চকে। সেই মঞ্চেই তৃণমূলী শিক্ষা মিত্রর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কানে কানে কথা বলতে শোনা গেল অধীর চৌধুরীকে। ক্যামেরাম্যানদের ফ্ল্যাশ গানের ঝলকানি আর ক্যামেরার লেন্স সেই মুহূর্তকে নিমেষে বন্দী করল।ব্যাস শুরু হয়ে গেল গুঞ্জন। লোকসভা নির্বাচন সামনের বছর, কিছুটা দেরি। তৃণমূলের শিখা মিত্রের কালীপুজোর উদ্বোধন মঞ্চে অধীর রঞ্জন চৌধুরী হঠাৎ কেন? পালা বদলের কোন ইঙ্গিত নাকি? এই ছবি দেখলে অবশ্য বিজেপি কিংবা সিপিএম সহ অন্য বিরোধী দলগুলি বলবে এ এক পুরনো মেলবন্ধন।
স্বর্গীয় সৌমেন মিত্রের ৮২ তম কালী পুজোতে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতি তাই রাজ্য রাজনীতির বুকে তুলে ধরল নানা জল্পনা আর প্রশ্ন। একে কেন্দ্র করে আগামী কয়েকদিন হয়তো বঙ্গ রাজনীতিতে অনেক আলোচনা চলবে লাগাতার। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, একসময় সৌমেন মিত্র হাত ধরে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কংগ্রেসে আগমন ঘটেছিল। পরবর্তীকালে দুজনের মধ্যে রাজনৈতিক আঙিনায় ব্যাপক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার হয়তো সেই দূরত্ব ঘোচাতে তার হাতে শুরু হওয়া পুজোতে হাজির হলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।