নিজস্ব প্রতিনিধি: কুড়মি-মাহাতোরা চাইছেন জোর করে তফসিলি জনজাতির তকমা পেতে। রাজনৈতিক মদতও পাচ্ছেন তাঁরা। তারই প্রতিবাদে তাঁরা পথে নেমেছেন। আর তাঁদের এই পথে নামার জেরেই শুক্রবার স্তব্ধ হয়ে গেল হাওড়া ব্রিজ(Howrah Bridge)। বাংলা, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার একাধিক আদিবাসী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘United Forum of All Adivasi Organizations’র মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ(Blocked) হয়ে পড়ল হাওড়া ব্রিজ। থমকালো অফিসমুখী শয়ে শয়ে যাত্রীবোঝাই বাস। হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল(Rally) করার নামে ঘন্টাখানেক ধরে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হল হাওড়া ব্রিজ। এরই নাম নাকি আন্দোলন। আমজনতাকে(Normal People) চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে ফেলে রেখে খাস কলকাতায় দিনদুপুরে চলেছে আন্দোলন। কত ক্ষণ ধরে এই মিছিল চলবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, ধর্মতলার উদ্দেশে যাবে এই মিছিল। হাওড়া সেতু থেকে ব্রেবোর্ন রোড ধরে এগোবে মিছিল।
শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই হাওড়া সেতুতে শুরু হয় অবরোধ। রাস্তার উপর পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিদের। এদিন একটি সভাও রয়েছে তাদের। হাওড়া স্টেশনে প্রথমে জড়ো হয়ে সেখান থেকে তাঁরা কলকাতা শহরের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছেন। বেশির ভাগ মানুষজনই হাওড়া সেতুর উপর দিয়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছেন। এর ফলে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তাঁরা বাস থেকে নেমে পড়তে বাধ্য হন। ক্ষোভ উগরে দেন প্রশাসনের প্রতি। হাওড়া ব্রিজের ওপর দিয়ে কার্যত সমস্ত রকমের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় ট্র্যাফিক মোতায়েন থাকলেও তাঁদের খুব একটা সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি বলে ক্ষোভ ক্ষুব্ধ জনতার। স্ট্র্যান্ড রোডমুখী রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প উপায়েও গন্তব্যে পৌঁছোতে পারছেন না অফিসযাত্রীরা।
সব থেকে বড় কথা, খোদ পুলিশের আধিকারিকেরা পর্যন্ত জানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে এই মিছিলের কোনও খবরই নাকি ছিল না। পুলিশ ও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই মিছিল করা হচ্ছে। মিছিলের চাপে বড়বাজার-সহ কলকাতার একাধিক অঞ্চলের রাস্তায় যান চলাচল থমকে গিয়েছে। দিনের শুরুতেই এই যান স্তব্ধতা এদিন দিনভর শহরের গতি রুদ্ধ করে দেবে বলেই মনে করছেন পুলিশের আধিকারিকেরা। যদিও তাঁদের এখন করার কিছুই নেই। যত ভোগান্তি আমজনতার। তবে এদিনের ঘটনায় সব থেকে বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের খবর সংগ্রহের কৌশল। হাজার হাজার মানুষ জঙ্গলমহল থেকে কলকাতায় আসছে, তার কোনও খবরই ছিল না পুলিশের কাছে! তাঁরা কেউ কোনও খবরই পেলেন না!