নিজস্ব প্রতিনিধি: কলেজে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তিতে সিলমোহর পড়ল শিক্ষামন্ত্রী-উপাচার্যদের বৈঠকে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৈঠকে বসেছিলেন বিকাশ ভবনে। সেই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি রয়েছে বলে জানান ব্রাত্য বসু।
বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সমস্ত কলেজে ভর্তির জন্য একটাই পোর্টাল তৈরি হবে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতিও মিলেছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর চলতি বছরে ভর্তিতে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন বৈঠক থেকে বেরিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অনুমোদন দিয়েছেন। আমাদের উদ্যোগ নিতে বলেছেন যে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন যাতে আমরা এ বছর থেকে করতে পারি। আজকের আমাদের দফতরের সঙ্গে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বৈঠক হল। কলেজ বিস্ববিদ্যালয়গুলিতে পরিকাঠামোর অবস্থা কী, এ বছর যদি কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি হয়, তাহলে তার জন্য তারা প্রস্তুত আছে কি না সেই ব্যাপারে তথ্য জানালেন। সদ্য কোভিড গিয়েছে, এখনও চলছে সংক্রমণ। পুরো শিক্ষাবর্ষ গত দু বছর ধরে এলোমেলো হয়ে আছে। ফলে আমরা একটা কোনও তত্ত্ব আরোপ করার আগে বিষয়টি বুঝে নেওয়ার দরকার ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সেই বিষয়ে তাঁদের তথ্য জানিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আমরা আবার এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানাব।’ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উয়াপাচার্যও। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হল। এটা খুবই সময়োপযোগী একটা সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়েছে’। একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, এর ফলে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়বে।
উল্লেখ্য এদিন বিকাশ ভবনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে এদিন বৈঠক বসেন। কলকাতা এবং কলকাতার আশেপাশে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সশরীরে এই বৈঠকে যোগ দেন। কলকাতা থেকে দূরে রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দেন। সেই বৈঠকে স্নাতক স্তরে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।