নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত থেকেই দেশজুড়ে ঘুরছিল একটাই প্রশ্ন, ‘ধাক্কা দিল কে?’ উত্তর প্রথমে অমিল থাকলেও এদিন সকালেই তার ব্যাখ্যা দিয়েছে SSKM Hospital কর্তৃপক্ষ। এবার আসরে নামলো বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও(TMC)। বৃহষ্পতিবার রাতে বাড়ির মধ্যেই পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সূত্রেই কলকাতার SSKM Hospital’র অধিকর্তা ড. মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়(Dr. Manimoy Bandopadhay) রাতেই সংবাদমাধ্যমকে জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর মনে হয়েছে কেউ তাঁকে পিছন থেকে জোরে ধাক্কা মেরেছিল, সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে তিনি পড়ে যান। তাতেই লাগে মাথায়, কপালে ও নাকে আঘাত। আর সেই বিবৃতির জেরেই জোর বিতর্ক শুরু হয় দেশজুড়ে। প্রশ্ন ওঠে, ‘কে ধাক্কা দিল?’ যদিও এদিন সকালে মণিময় নিজেই জানান, ‘আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অনেক সময় মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সময়ে এমন পিছন থেকে ধাক্কার অনুভূতি হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত সেই সময় বলতে চেয়েছিলেন যে পড়ে যাওয়ার সময়ে পিছন থেকে ধাক্কার অনুভূতি তাঁর হয়েছিল, কিন্তু তার মানে এই নয় যে কেউ তাঁকে ধাক্কা দিয়েছিল।’ সেই ব্যাখার পরে পরে তৃণমূলের তরফে ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পেশায় চিকিৎসক শশী পাঁজাও(Dr. Sashi Panja)।
এদিন অর্থাৎ ১৫ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর ‘ধাক্কা রহস্যে’র ব্যাখ্যা দিয়েছেন শশী। সাংবাদিক বৈঠকেই তিনি যা জানাবার জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘পুশ ফ্রম বিহাইন্ড’ শব্দের ভুল ব্যখ্যা করা হচ্ছে। শশী জানিয়েছেন, ‘বিষয়টা সিনকোপ। অনেক সময় হঠাৎ করে মূর্ছা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে কেউ ধাক্কা দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। শরীরের মধ্যে একটা অস্থিরতা দেখা দেয়। মনে হতে পারে কেউ ধাক্কা দিচ্ছেন।’ উল্লেখ্য এর আগে একাধিকবার পুলিশের নজর এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেছে কেউ কেউ। একজন তো ভিতরে ঢুকে লুকিয়েও ছিলেন। তা নিয়ে এর আগে বড়সড় কোনও বিপত্তি না হলেও এবার কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী গুরুতর আহত হলেন। প্রাণেও মারা যেতে পারতেন। কেননা যে সময়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই সময় যদি সত্যি করে কোনও বহিরাগত তাঁকে ধাক্কা মেরে থাকে তো সে ইচ্ছা করলে তাঁকে প্রাণেও মারতে পারতো! আর এখানেই প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা। দেখার বিষয় পুলিশি তদন্তে কোন ঘটনা উঠে আসে। তবে SSKM Hospital কর্তৃপক্ষের তরফে যে ব্যাখাই দেওয়া হোক না কেন পুলিশ ঘটনার তদন্ত থেকে সরে আসছে না বলেই লালবাজার সূত্রে খবর। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন।