নিজস্ব প্রতিনিধি: নবমীর রাতে শহরবাসী যখন প্রতিমা দর্শনে মাতেয়ারা, তখন শহরের এক আবাসনের ঘটনায় চারিদিকে ঢিঁ ঢিঁ পড়ে গেল।
স্বামী হারানো এক মহিলাকে প্রতিমা বরণে বাধা দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে জাঁকজমকের পুজোর হাট দক্ষিণ কলকাতায়, ষষ্ঠীর দিন। প্রতিবাদে সরব সমাজকর্মী রত্নাবলী রায়। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে কড়া ভাষায় এই ন্য়ক্কারজনক ঘটনার নিন্দা করেছেন।
জানা গিয়েছে, বোধনের দিন ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধাকে দেবী বরণে বাধা দেন আবাসনের কয়েকজন ‘মাতব্বর’। তা নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। অন্য মহিলারা প্রতিবাদ করায় ওই প্রবীণা পরে দেবী বরণের সুযোগ পান। উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা আবাসনের পুজোর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। মোটা টাকা চাঁদাও দিয়েছেন।
এই লজ্জাজনক ঘটনার কথা ফেসবুকে পোস্ট করেন রত্নাবলী রায়। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন:
‘দক্ষিণের এর বাতাস, যা উবে যায়…..
কলকাতার একটু প্রান্তে ‘বড়লোক’ আবাসনে বিশেষ সম্প্রদায়ের কিছু ছোট ছেলেমেয়েদের ঠাকুর দেখতে দেওয়া হয়নি | অথচ, তাদের খুশীর উৎসব আসলেই, আমরা ‘এ্যাই বিরিয়ানি খাওয়াও’ বলে হ্যাংলামি করি, বাড়ীতে অনিমন্ত্রিত হয়ে প্রায় চড়াও হই!
সেই একই আবাসনের একজন স্বামীহারা মহিলাকে ঠাকুর বরণ থেকে বিরত করা হয়েছে, বলা হয়েছে ‘আপনি তো বিধবা’ কিন্তু পুজোয় তাঁর মোটা টাকা চাঁদা হাত পেতে নিয়েছে আবাসনের পুজো কমিটি|
যে পুজোয় বা উৎসবে সবার সামিল হবার অধিকার নেই, সেই উৎসব খুব সেকুলার বা কমুউনিটি কেন্দ্রিক সে সব বলা বন্ধ হোক | আবাসনের নাম দেবোনা, কারণ অন্য আবাসিকদের পুজো ম্লান হয়ে যাক তা আমি চাইনা | আপনারাও চান না, তা আমি জানি|’