নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের মন্ত্রী ও বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে(Babul Supriya) নিয়ে নয়া গুঞ্জন। ফের তৃণমূল(TMC) থেকে বিজেপিতে(BJP) যোগ দিতে পারে বাবুল এমনই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের(Silip Ghosh) করা মন্তব্যে নিয়ে বাবুল-যোগের যোগের জল্পনা নয়া মাত্রা পেয়েছে। বিস্তর জল্পনার আবহে মুখ খুলেছেন রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী। তিনি বিজেপিতে ফেরত যাওয়ার যাবতীয় জল্পনা রীতিমত খারিজ করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে আক্রমণ শানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। বলেছেন, ‘কেউ হয়তো কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে এমন কথা ছড়িয়ে দিচ্ছে। রাজনীতিতে তো আর বন্ধুর অভাব নেই! তবে আমি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’ যদিও আসল আক্রমণটা তিনি শানিয়েছেন ফেসবুকে(Facebook Post)।
নিজের ফেসবুক পেজে বাবুল দিলীপকে নিসজানা বানিয়ে লিখেছেন, ‘দলের সমস্ত পদ থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে Dilip Ghosh কে!! তাই উল্টোপাল্টা বকে খবরে থাকার desperate চেষ্টা করেন এই অপদার্থ অশিক্ষিত কদর্য মনস্ক ব্যক্তি!! সারা দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল থেকে দাগী নেতাদের (পড়ূন ‘আসামীদের’) ভাঙিয়ে, মালা পরিয়ে দলে নিয়ে, যেনোতেনো প্রকারে সরকার বানানোর উলঙ্গ লোভ দেশের সবার সামনে প্রকট করতে দ্বিধা না করা দলের একজন ‘Accidental MP’, এত বছর ধরে ‘Verbal Diarrhoea’র চিকিৎসা কেন করাচ্ছেন না কে জানে!!! হতে পারে হয়তো ‘ঘরে-বাইরে’ JOKER নামটাকেই উনি পছন্দ করেন!! উনি নিজেও কি মনে করেন 2024 -এ উনি জিততে পারবেন??’
মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণ সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় অবশ্যই ভালো গান করেন, কিন্তু রাজনীতিতে সব সময় বেসুরো থাকেন। রাজনীতিতে কোনওদিনই সুরে গান করেননি। যাঁরা রাজনৈতিক পর্যটক, তাঁরা কখনওই নীতি আদর্শ বা দলীয় সংগঠনের ধার ধারেন না। পার্টিও প্রয়োজনে দলে নেয় আবার ছেড়ে দেয়। সেই কারণে রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ এবার বাউল তাঁকে পাল্টা বিঁধলেন কটাক্ষ হেনে। উল্লেখ্য, বাবুল ২ দফার সাংসদ হয়েছিলেন আসানসোল থেকে। দুইবারই বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। জুটেছিল কেন্দ্রে মন্ত্রীত্বও। যদিও একুশের ভোটের পরে তাঁকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরে পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ২০২২-এ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁকে বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রার্থী করে তৃণমূল। হন রাজ্যের মন্ত্রীও।