এই মুহূর্তে




সোম বিকালে প্রচার কৌশল ঠিক করতে বৈঠক বাবুলের




নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি ছেড়েছেন তিনি আগেই। এসেছেন তৃণমূলে। এবার হয়ে গেলেন দলের প্রার্থীও। রবি সকালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী(Candidate) হচ্ছেন তিনি, মানে বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriyo)। দলনেত্রীর সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তাঁকে টুইট করেই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বাবুলও। শুধু তাই নয়, রবি বিকালেই বালিগঞ্জে(Ballygunge) বাবুল নেমে পড়েন প্রচারে। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকার একটি মাঠে ক্রিকেট ম্যাচে যোগ দিয়ে নিজের প্রচার শুরু করে দেন বাবুল। তবে সামগ্রিক ভাবে এই উপনির্বাচনে(Bye Election) দলের প্রচার কৌশল কী হবে তা ঠিক করতেই আজ, অর্থাৎ সোমবার দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বাবুল। এই বৈঠকে বসার অন্যতম কারণ, রাজ্য ইমাম(Imam) সংগঠনের প্রধান মহম্মদ ইয়াহিয়ার একটি ঘোষণা। যে ঘোষণায় তিনি জানিয়েছেন বালিগঞ্জে প্রার্থী হিসাবে তাঁর ‘না পসন্দ’ বাবুলকে। সেই জন্যই তিনি নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন বালিগঞ্জে।   

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাস যে কালিঘাট এলাকায় সেটি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। আর এই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পাশেই রয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি। সেখানে থেকেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর অকাল প্রয়াণের জেরে এবার সেই বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে আবারই নির্বাচন হতে চলেছে। বাবুল নিজেও জানেন এই কেন্দ্রের সঙ্গে সুব্রতবাবু কার্যত ওতঃপ্রত ভাবে জড়িত। সেই কারণে বাবুল জানিয়েছেন, ‘সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এলাকা। আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এ জায়গার। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের বিধানসভা। ফলে যথেষ্ট সিরিয়াসলি আমায় লড়তে হবে। দল যেভাবে বলবে সেভাবে লড়ব। মাঠে যখন নেমে পড়েছি তখন খেলা হবে।’ ২০১১ সাল থেকেই বালিগঞ্জে লড়াই করে আসছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই হিসাবে ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন বালিগঞ্জ থেকে। আর তাঁর হাত ধরে প্রতিবারই ভোট প্রাপ্তির হার বাড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল(TMC)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পেয়েছিল প্রায় ৭২ শতাংশ ভোট। সেই হিসাবে খুবই ‘সিকিউরড’ সিট বালিগঞ্জ, অন্তত তৃণমূলের প্রার্থীদের জন্য।

কিন্তু সেই ‘সিকিউরড’ সিটকেই কিছুটা ঝাঁকিয়ে দিতে মাঠে নামছেন রাজ্য ইমাম সংগঠনের প্রধান মহম্মদ ইয়াহিয়া। তাঁর দাবি, ‘বাবুল সুপ্রিয় বরাবরই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অংশ। আসানসোলের ইমামের ছেলে সাম্প্রদায়িক হামলায় নিহত হয়েছিলেন। সেই সময় বাবুল সুপ্রিয় স্থানীয় সাংসদ ছিলেন। কিন্তু তিনি সেই দুর্দিনে আসানসোলের ইমামের পাশে দাঁড়াননি। কার্যত কিছুই করেননি তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসকে উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে বের করতে হবে। না হলে আমি সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’ প্রসঙ্গত, আসানসোলের যে ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন ইয়াহিয়া তা ঘটেছিল ২০১৮ সালে। সেই সময় আসানসোলের ইমাম ইমদাদুল রশিদির মাত্র ১৬ বছরের ছেলে রাম নবমীর দিন সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে খুন হয়। সেই ঘটনাকে টেনে এনে ইয়াহিয়া এবার বাউলের বিরোধীতায় নামছেন নির্দল প্রার্থী হিসাবে। তবে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দল সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামবে। দলের দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার নিজে বাবুলের ডোর টু ডোর ক্যাম্পেনের বিষয়টি দেখছেন। প্রচার থেকে রণকৌশলের বিষয়টিতে নজর রাখবেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের দ্বিতীয় হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। সর্বোপরি থাকবেন অভিষেক। তাই বাবুলের জয় নিয়ে খুব একটা ভাবছে না তৃণমূল।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিঘায় মমতার উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দির তৈরির উদ্যোগকে স্বাগত জানাল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা

‘এক দেশ, এক ভোট মানব না’ ফের হুঙ্কার মমতার

পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমলেও মানিকতলা বাজারে বেশি দামে বিকোচ্ছে কাঁচামাল

ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, নতুন তারিখ কবে?

লাগামছাড়া গতিতে ‘রেড অ্যালার্ট’, রেষারেষি রুখতে ‘চাবিকাঠি’ থাকছে পরিবহণ দফতরের হাতে

সকালে পারদ নামল ১৩.৮ ডিগ্রিতে, আজ মরসুমের শীতলতম দিন

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর