নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুষ মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হবে সেটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। তাঁর দেহের আস্বাদন, লেহন ও মর্দনের ইচ্ছাও খুব স্বাভাবিক প্রভৃত্তি। কিন্তু কথায় বলে স্থান কাল পাত্র বিবেচনা করে চলা উচিত আমাদের সকলেরই। নাহলেই ভুলভ্রান্তি হবে, বিপদে পড়ে যেতে হবে। সেটাই এবার হল কলকাতার বাংলাদেশ দূতাবাসে থাকা এক কূটনীতিকের। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে সেই কূটনীতিবিদের একটি ভিডিও। অভিযোগ সেই ভিডিও আদতে এদেশের এক মহিলার সঙ্গে ভিডিও চ্যাটের অংশ। আপত্তি এই চ্যাট নিয়ে নয়, আপত্তি রয়েছে চ্যাট চলাকালীন ওই কূটনীতিবিদের যে চেহারা ধরা পড়েছে তা নিয়ে। কেননা ভিডিওতে তাঁকে নগ্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছে। এমনকি হস্তমৈথুন করতেও দেখা গিয়েছে। কার্যত সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থাতেই ওই কূটনীতিবিদ ভিডিও চ্যাট করছিলেন ওই মহিলার সঙ্গে। মনে করা হচ্ছে ওই কূটনীতিবিদের অজান্তেই ওই মহিলা ভিডিওটি রেকর্ড করে রাখেন ও পরে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেন। সেই ঘটনার জেরেই এবার মহম্মদ সানিউল কাদের নামের ওই কূটনীতিবিদকে বাংলাদেশ সরকার রাতারাতি নিজের দেশে ফিরিয়ে এনেছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতায় বাংলাদেশের যে দূতাবাস রয়েছে সেখানেই সানিউল ডেপুটি হাইকমিশনে প্রথম সচিব(রাজনৈতিক) পদে কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে রবিবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সানিউল এক ভারতীয় মহিলার সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় ভিডিও চ্যাট করেছিলেন। সেই ঘটনার দুটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। তাই ঘটনাটি নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। তাই দ্রুততার সঙ্গে তাঁকে দেশে ফেরত আসতে বলা হয় এবং সেই নির্দেশ ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। ভিডিওতে যে মহিলার সঙ্গে সানিউল চ্যাট করছিলেন তিনিও নগ্ন অবস্থাতেই ছিলেন। এই ঘটনা দেশের পক্ষে মানহানিকর। তাই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২৬ জানুয়ারি পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে দেশে ফিরে যান সানিয়ুল। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।