নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বাসুদেবপুরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্তের আর্জি জানান। হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকেও মামলার কপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগ, নাবালিকা মেয়েকে মায়ের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাট খেতে গণধর্ষণ করা হয়। আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত এই ঘটনায় পুলিশি গাফিলতিরও অভিযোগ করেন। আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্তের আবেদন জানান ওই আইনজীবী। আদালত রাজ্য সরকারকেও মামলার কপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কিশোরীকে পাট খেতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা এবং মোবাইলে ভিডিয়ো তুলে রাখার অভিযোগের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুজনের নাম যথাক্রমে, আরাফত মণ্ডল এবং আক্তার মণ্ডল। অভিযুক্ত দুই যুবককে চারদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যারাকপুর এসিজেএম আদালত
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই কিশোরী ঘটনার দিন মাউয়ের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। সোনার দেকান থেকে ফেরার সময় তার মোবাইলে কেউ ফোন করে। এর পর ওই নাবালিকা মা’কে ‘আসছি’ বলে বেরিয়ে যায়। এর পর জানা যায় মেয়েটিকে ফোন করে দুই যুবক ডেকে পাঠিয়েছিল। অভিযোগ তারাই পাট খেতে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। এর পর টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। এক সালিশি সভা ডেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সদস্যের তরফে। কিন্তু সেই সালিশি সভায় নির্যাতিতার পরিবার এই প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করে। তখনই নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্যকে ধারালো ছুরি দিয়ে পিঠে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। ছুরি নিয়ে হামলা করার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি খুরশিদ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দুদিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।