নিজস্ব প্রতিনিধি: বেলেঘাটায় এক মহিলা আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। তদন্তে নেমে চক্ষুচড়ক গাছ গোয়েন্দাদের। সর্ষের মধ্যেই ছিল ভূত! মহিলার স্বামীই এই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রী বলে চিহ্নিত করেছে তদন্তকারীরা।
চলতি বছরের শুরুতে গত জানুয়ারি মাসে মহিলার বাড়িতে হানা দেয় ডাকাত দল। সেসময় ডাকাতরা মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে, মারধর করে টাকা-সোনা চুরি করে নিয়ে যায় বলে মহিলা অভিযোগ করেছিলেন। গত ২১ জানুয়ারি থানায় অভিযোগে তিনি জানান, ঘটনার দিন একদল দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে পড়ে। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে টাকা-সোনা সব বার করে দিতে বলেন। সেদিন ওই দুষ্কৃতিদল লক্ষাধিক টাকা এবং সোনার গহনা লুঠ করে নিয়ে যায়। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। আগেই বেশ কয়েকজনকে এই ঘটনায় জড়িত থাকারে অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অভিযোগকারিণীর স্বামীর উপর সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। অবশেষে ওই মহিলার স্বামীকে সম্প্রতি গ্রেফতার করে পুলিশ। মহিলার স্বামীও পেশায় আইনজীবী। কিন্তু পুলিশের দাবি, তিনি ডাকাতির মূল ষড়যন্ত্রকারী।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রীর সঙ্গে শুভাশিসবাবুর সম্পর্ক ভালো ছিল না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরেই ঝগড়া অশান্তি লেগেই ছিল। তাঁদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এখনও বিচ্ছেদ না হলেও স্বামী স্ত্রী আলাদাই থাকতেন। তবে স্ত্রীর প্রচুর টাকা রয়েছে, তা জানতেন স্বামী। স্বামীর পরিকল্পনা ছিল সেই বিপুল সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার। সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিয়োগ করেন ভাড়াটে গুন্ডা। তাদেরকে ডাকাতির মোটা টাকা ভাগ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্ত ওই স্বামীর বিরুদ্ধে ডাকাতি এবং খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হবে তাঁকে। সেখানে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাবে পুলিশ।