এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন্দ্রের জল জীবন মিশন প্রকল্পে বাড়তি টাকা পাচ্ছে বাংলা

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাকে(Bengal) বঞ্চনা আর একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা ঘিরে যখন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকারের সঙ্গে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের বিবাদ নয়া মোড় নিয়েছে, ঠিক তখনই কেন্দ্রের তরফেই সুখবর দেওয়া হল রাজ্যকে। চলতি মার্চ মাসে কেন্দ্রের জল জীবন মিশন প্রকল্পে(Jal Jeevan Mission Project) বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল সংযোগের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। সেই ভাল কাজের পুরষ্কার বাবদ প্রকল্পের মূল বরাদ্দের পরেও অতিরিক্ত আরও বিপুল অর্থ(Extra Funding) বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাংলার জন্য কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ করেছিল প্রায় ১৯০৩ কোটি টাকা। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের তরফেই এখন রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে যে, আরও ৪০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে পাঠানো হচ্ছে চলতি মাসেই।

একের পর এক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ থাকা নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক তরজা বাড়ছে বাংলার বুকে। বরাদ্দের জট কাটাতে কেন্দ্র-রাজ্যের আধিকারিক স্তরে আলোচনা শুরু হলেও সমস্যা মেটেনি। অথচ জল জীবন মিশন প্রকল্পের ক্ষেত্রে মূল বরাদ্দের পরেও অতিরিক্ত আরও বিপুল অর্থ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, যা বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে চালু কেন্দ্রীয় অনুদানভুক্ত প্রকল্পগুলির মধ্যে জল জীবন মিশন প্রকল্পের কাজ বেশ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। এই প্রকল্পের সাফল্যের কথা দেশজুড়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে মোদি সরকারও এবার কিছুটা হলেও বাংলার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর তাই এই প্রকল্পের জন্য বাড়তি অর্থ বরাদ্দও হচ্ছে। উল্লেখ্য, জল জীবন মিশন প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্যের অংশিদারিত্ব ৫০ শতাংশ করে। যদিও সাম্প্রতিক কালে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক জনসভা থেকে দাবি করেছেন, এই ৫০ শতাংশের অংশিদারিত্ব নামেই। আদতে রাজ্যকে খরচ করতে হচ্ছে ৭০ শতাংশ, কেন্দ্র দিচ্ছে মাত্র ৩০ শতাংশ। কেননা রাজ্যকেই নিজ খরচে জমি জোগাড় করতে হচ্ছে পাইপলাইন পাতার জন্য, পাইপ পাতার খরচও বহণ করতে হচ্ছে রাজ্যকেই।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ আর্থিক বছর থেকে গত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই খাতে কেন্দ্র প্রায় ৮৪৭৮ কোটি টাকা দিয়েছে। সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্যও। তাত্‍পর্যপূর্ণ, এই প্রকল্পে প্রতি বছর বরাদ্দ বাড়িয়েই গিয়েছে কেন্দ্র। তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ৪৬০ কোটি টাকা, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ৯০৩ কোটি টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১৭৪৭ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ বছরে ২০০৭ কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৩৩৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। তাদের দাবি, এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। আর এই প্রকল্পের অগ্রগতির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে রাজ্যে জল সংযোগের সংখ্যা ছিল ৪৭২০। সেই সংখ্যাই গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পৌঁছেছে প্রায় ৭৯.৬৫ লক্ষে। এই সংখ্যক পরিবারের কাছে প্রকল্পের আওতায় নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। সমান্তরালে কেন্দ্রের বিধি মেনে চলছে তার ব্র্যান্ডিং এবং প্রচারের কাজও।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর