নিজস্ব প্রতিনিধি: যে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে রূপ নিচ্ছে তা সাইক্লোনে পরিণত হবে। অন্ধ উপকূলে ওই সাইক্লোন আছড়ে পড়লেও তার জেরে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের(Alipur Weather Office) আবহাওয়াবিদ গণেশ কুমার দাস এই খবর জানান তিনি বলেন এই সাইক্লোনের জেরে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ,হুগলী এবং পূর্ব বর্ধমানে বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের(SouthBengal) আকাশে মেঘের আনাগোনা বাড়বে তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু এই সাইক্লোন পর্ব কেটে গেলে নয় ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করবে এবং কলকাতা(Kolkata) তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রিতে নেমে যাবে।
তিনি আরোও বলেন,এই মুহূর্তে যদি ডিপ ডিপ্রেশনের কথা বলি সেটা রয়েছে সাউথ ওয়েস্ট বে অফ বেঙ্গল এর উপরে। ডিসটেন্স অনুযায়ী যদি বলা হয় চেন্নাই থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরত্বে ৬৭০ কিলোমিটার দূরে সাউথইস্ট অফ মাছলিপত্তানাম । আগামী ২৪ ঘন্টাতে এটা সাউথ অন্ধ্র এবং নর্থ তামিলনাড়ু পোস্টের দিকে আসবে। চার ডিসেম্বরএই সিস্টেমটা একটু প্যারোলি মুভ করবে সাউথ অন্ধ্র কোষ্টের দিকে এবং ৫ ডিসেম্বর সকালের দিকে হিট করবে নেল্লোর এবং মাছলিপত্তনামের মাঝে ।সেই সময় হাওয়ার তীব্রতা থাকবে আশি থেকে নব্বই কিলোমিটার বেগে। এই ডিপ্রেশনে আমাদের রাজ্যে কোন প্রভাব নেই । এই সিস্টেমের জন্য উইন্ডগুলো সবই উত্তরমুখী হয়ে যাবে। তার ফলে আমাদের রিজিয়নে প্রচুর পরিমাণ ময়েশ্চার প্রবেশ করবে । রবিবার থেকে আরো ক্লাউড মাস বাড়বে আমাদের রিজিয়েনে ।
তার ফলে তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়বে। তাপমাত্রা আর কমার কোন এই মুহূর্তে কোন সম্ভাবনা নেই। আমাদের রিজিয়ানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নরমাল থেকে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি উপরে চলছে । নর্থ এবং সাউথ বেঙ্গল এটা কিন্তু কন্টিনিউ করবে। সাত থেকে আট তারিখ পর্যন্ত। ৯ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কমবে। নরমালের কাছাকাছি এসে পৌঁছাবে ।১৭ ডিগ্রী কাছাকাছি । ৯ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সিস্টেমটা যদি নর্থ উড়িষ্যার দিকে মুভ করে তাহলে আমাদের রাজ্যে সম্ভাবনা থাকছে বৃষ্টির ।হালকা বিশেষ করে সমুদ্র উপকূল জেলাগুলিতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে,হাওড়া, হুগলি, কলকাতা সহ ২৪ পরগনা ,ইস্ট বর্ধমান ,নদীয়া জেলাতে এই মুহূর্তে কোন সতর্কবার্তা নেই । উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ দুই জায়গাতেই কোন সতর্কবার্তা নেই।