নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার ছিল দোল আর শনিবার ছিল হোলি(Holi)। তবে ছুটির রেশ পড়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই। আর তার জেরেই জায়গায় জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছিল রঙের উৎসব। রীতিমত উৎসবের মেজাজে রাজ্যবাসী শুরু করে দেন দোল-হোলির সেলিব্রেশান। আর তার জেরেই বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে মদ(Liquor) বিক্রি হয়ে গেল প্রায় ২০০কোটি টাকার। নিঃসন্দেহে রেকর্ড। গড়ে প্রতিদিনে ৫০ কোটির মদ বিক্রির নজীর এই বাংলায়(Bengal) খুঁজে পাওয়া ভার। গত বছর দুর্গাপুজো এবং বর্ষবরণেও রাজ্যে মদের রেকর্ড ব্যবসা হয়েছিল। পুজোর দিনগুলিতে রাজ্যে মদ বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪০৪ কোটি টাকার। অবশ্য মাসের হিসেবে ধরলে ১ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ৭২০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। আবার বর্ষবরণের সময় ও তার পরও টানা ন’দিন দিনপিছু ৭০ থেকে ৭৫ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল গোটা রাজ্যে। যা পুজোর রেকর্ডকেও টপকে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সব রেকর্ডেও দিনপ্রতি গড়ে ৫০ কোটির মদ বিক্রির নজীর নেই।
রাজ্যের আবগারী দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দোলের(Dolyatra) দিন বিকাল পর্যন্ত রাজ্যে সব মদের দোকান বন্ধ ছিল। তবে বৃহস্পতিবার সারাদিনই মদের দোকান খোলা ছিল। আর সেদিনই বিকাল থেকে শুরু হয়ে যায় মদ কেনার ধূম। রবিবার পর্যন্ত চলে সেই স্রোত। আর তার জেরেই রাজ্যের আবগারী দফতরে ২০০ কোটি টাকা হাসতে হাসতে ঢুকে গিয়েছে। শুনলে আরও চমকে যাবেন শুধু দোলের দিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজ্যে ৭০কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। হিসাব মতো দেখতে গেলে সেটাও আবার বিক্রি হয়েছে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে। কেননা দোলের দিন বিকাল পর্যন্ত রাজ্যে মদের সব দোকান বন্ধ ছিল। বিকালের পরে তা খোলা হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত সেই দোকান খোলা ছিল। মানে মাত্র ৬ ঘন্টাতেই দোলের দিন রাজ্যে বিক্রি হয়েছে ৭০ কোটি টাকার মদ। গড়ে প্রতি ঘন্টায় ১০ কোটি টাকারও বেশি। আবগারী দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ২০০ কোটির মদ বিক্রির বড় অংশটাই এসেছে দেশি মদ থেকে। এরপরই রয়েছে বিদেশি হুইস্কি।