নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও সাফল্যের নজীর গড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলা। একই সঙ্গে বাংলায়(Bengal) যারা শিল্প নেই নেই বলে দিনরাত্রি চিৎকার করেন তাঁদের মুখেও ঝামা ঘষে দিল একটি পরিসংখ্যান। দেশে Manufacturing Sector চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৫৩ শতাংশ। কিন্তু বাংলাতে সেই শিল্পগত উৎপাদন বেড়েছে জাতীয় বৃদ্ধির চেয়েও বেশি। সংখ্যাটা ৭.২৬ শতাংশ। শুধু তাই নয়, বাংলায় শিল্পের ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার জন্যও রাজ্যে কমেছে বেকারত্ব(Unemployment), বেড়েছে কর্মসংস্থান। গত ২০২৩ সালের শেষ ৩ মাসে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৯,০৫। সেখানে বাংলায় সেই হার ছিল মাত্র ৫.৫। অর্থাৎ জাতীয় গড়ের কার্যত অর্ধেক। বাংলার বুকে শিল্পগত উৎপাদন বেড়েছে বলেই সেখানে বেশি করে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। আর সেটা তৈরি হয়েছে বলেই রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে। গল্প এখানেই থেমে যায়নি। পরিসংখ্যান বলছে গত এক দশকে বাংলার অর্থনীতি(Economy) ৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ লক্ষ কোটি টাকা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন পথে এসেছে এই সাফল্য? পরিসংখ্যানকারীদের দাবি, সাফল্য এসেছে দুই দিক থেকে। এক বৃহৎ শিল্পের জন্য পড়ে না থেকে মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের জোর দেওয়ার নীতি। বাংলা বরাবরই দেশের সেই সব রাজ্যের মধ্যে পগ্রনী যেখানে মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের যথাযথ ভাবে বিকাশ ঘটে চলেছে। এই ক্ষেত্রে বাংলা এখন দেশে দ্বিতীয়। এই মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের সব থেকে বড় গুণ, কম বিনিয়োগে বেশি সংখ্যক মানুষের সুনিবিড় কর্মসংস্থান। আর তাতেই দেখা যায় গ্রাম ও শহর দুই ক্ষেত্রেই বেশি করে কাজের জায়গা খুলে যায়। কাজের লোকের প্রয়োজন হয়। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। আর তার হাত ধরে রাজ্যের অর্থনীতিও যেমন বিকশিত হয় তেমনি রাজ্যের কোষাগারও বৃদ্ধি পায়। গত এক দশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের গঠন ও তার বিস্তারে যেমন সব থেকে বেশি জোর দিয়েছে তেমনি এই শিল্প স্থাপনের জন্য যাবতীয় লাল ফিতের ফাঁস সরিয়ে দিতে পদক্ষেপ করেছে। একই সঙ্গে রাজ্যে একের পর এক শিল্পপার্ক গড়ে তোলা, শিল্প করিডর গড়ে তোলার দিকেও নজর দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর তার জেরেই রাজ্যে বেড়েছে মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উৎপাদনও।