নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব রেল যদি ভারত গৌরব ট্রেন চালানো শুরু করে তা হলে এই অঞ্চলের মানুষ দেশের কোন কোন অঞ্চলে বেড়াতে যেতে পছন্দ করবেন। আবার একটি গোটা ট্রেন ভাড়া নিলে ব্যবসায়ীরাই বা কী ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাবেন? এই ধরণের নানা খুঁটিনাটি বিষয় জানাতে সম্প্রতি পূর্ব রেলের কর্তারা গত বৃহস্পতিবার এক বৈঠক করেন। বাংলার আটটি বড় পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সৌমিত্র মজুমদার, চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার অমিতাভ মুখোপাধ্যায় এবং আরও কয়েকজন আধিকারিক। ওই বৈঠকের পর রেলকর্তাদের আশা আগামী মার্চের মধ্যেই এই রাজ্য থেকেও কয়েকটি ভারত গৌরব ট্রেন চালু হয়ে যাবে।
পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা দিন কয়েক বলেছিলেন, ‘মার্চ থেকেই যাতে এই পরিষেবা পূর্ব রেলও চালু করতে পারে, তার চেষ্টা চলছে। যাত্রীরা বেড়াতে আগ্রহী হবেন এমন জায়গা বেছে পর্যটন সার্কিট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে’। তাঁরই নির্দেশে পূর্ব রেলের কর্তারা পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই বৈঠকের আয়োজন করেন। সংস্থার উদ্যোগ, প্রথম থেকেই যাতে পূর্ব রেল ভারত গৌরব ট্রেন চালানোর ব্যাপারে সামিল থাকতে পারে তার ব্যবস্থা করা।
সূত্রের খবর, পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সৌমিত্র মজুমদার পর্যটন ব্যবসায়ীদের গোটা প্রকল্পের রূপরেখা বুঝিয়ে দেন। পাশাপাশি লাভের দিকগুলিও তিনি ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন। মূলত ভ্রমণের থিম, প্যাকেজের খরচ, কোন রুটে ট্রেন চলবে, যাত্রীদের থেকে মাথা-পিছু ভাড়া, কোন ধরনের হোটেলে যাত্রীরা থাকবেন, ট্রেনের ভিতর-বাইরে বিজ্ঞাপনী প্রচারের মতো বিষয়গুলি আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব রেলের কর্তাদের বক্তব্য, একটা গোটা ট্রেনে যেহেতু শুধুমাত্র পর্যটকরা ভ্রমণ করবেন, আর ট্রেনটি নির্দিষ্ট কয়েকটি স্টেশন ছাড়া দাঁড়াবেও না সেহেতু তা পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হবে।
এই রাজ্য থেকেই সিংহভাগ মানুষ ঘুরতে যান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাই এই রাজ্যে পর্যটক স্পেশাল ট্রেন চালু হলে তাতে বিপুল সাড়া মিলবে বলেই মনে করছেন রেলকর্তারা। সূত্রের খবর, পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে ‘বুদ্ধিস্ট সার্কিট’, ‘দক্ষিণ ভারত সার্কিট’, ‘রাজস্থান সার্কিট’ এবং ‘ন্যাশনাল পার্ক সার্কিট’-এর মতো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন কোনও ট্যুরিজম সার্কিট চালু করা যায় কি না, ওঠে সে প্রসঙ্গও আলোচনা হয়। ‘ভারত গৌরব’ ট্রেনের জন্য পূর্ব রেল আলাদাভাবে কাস্টমার সাপোর্ট বিভাগ তৈরি করবে।