এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

CAG-এর রিপোর্টে মুখ পুড়ল মোদি সরকারের, নেপথ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রের সংস্থাই কিনা মুখ পুড়িয়ে দিল কেন্দ্রের। এতদিন বিরোধীরা কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের(Modi Government) সমালোচনায় সরব হত। এবার সেই কাজটাই করে দিল CAG বা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব ইন্ডিয়া। দেশের সংসদে চলতি বাজেট অধিবেশনে লোকসভায় দাঁড়িয়ে বুক ঠুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) জানিয়েছেন, দেশবাসী নাকি তাঁর ওপরেই ভরসা করেন। অথচ CAG রিপোর্ট বলছে সেই মোদি সরকারই মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নিম্নমানের ওষুধ(Expires and Bad Quality Medicine) খাইয়ে ‘পরোক্ষে’ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে দেশের লক্ষ লক্ষ অসুস্থ মানুষকে। নজরে রাখা উচিত যে, এই অভিযোগ দেশের বিজেপি বিরোধী কোনও দল বা ব্যক্তি সামনে আঞ্ছে না। আনছে এমন একটা সরকারি সংস্থা যেটা খোদ কেন্দ্রের অধীনেই রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা এখন মুখ পুড়িয়ে দিচ্ছে মোদি সরকারের পাশাপাশি বিজেপি ও গেরুয়া বাহিনীর।

আরও পড়ুন ক্যান্সারে বিদ্ধ বাংলা, ২০২৫-এ আক্রান্ত হবেন অন্তত ১.২৫ লক্ষ মানুষ

CAG বা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব ইন্ডিয়া দেশের শীর্ষ অডিট সংস্থা। তাঁদের রিপোর্টের ওপর চোখ বুজে ভরসা করে দেশের প্রতিটি মানুষ। সেই সংস্থাই কিনা রিপোর্ট দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম পাঁচ বছরের শাসনকালে কেন্দ্রীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পে (CGHS) ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ’ ওষুধ দেওয়া হয়েছে দেশের ৫২ হাজার ৫৭৭ পরিবারকে। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন শহরে কেন্দ্রের অধীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অত্যন্ত নিম্নমানের ওষুধ হাতে পেয়েছেন কয়েক লক্ষ অসহায় রোগী। এর মধ্যে এই বাংলায় শুধু কলকাতাতেই(Kolkata) ভুক্তভোগীর সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষের কাছাকাছি। তাঁরা না জেনে ওষুধের নামে কার্যত বিষপান করেছেন। পরোক্ষে ‘মানুষ মারার’ এই কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে দেশের শীর্ষ  অডিট সংস্থা। যদিও কোনওদিনও সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটা বিশ্বাস করেন না দেশের বেশির ভাগ মানুষই। উল্লেখ্য এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে সিজিএইচস সংক্রান্ত ক্যাগের সর্বশেষ রিপোর্টে তা উঠে আসায়।

আরও পড়ুন হুগলির গ্রাম থেকে শহর, ২৫টি জলপ্রকল্প পুনর্গঠনে ২৬০ কোটি টাকা

কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে বিনামূল্যে ওষুধ পান কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং পেনশনাররা। ক্যাগের দাবি, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে CGHS’র বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এমন ৫২,৫৭৭ পরিবারকে যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে, তার অধিকাংশ মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া। কিছু ক্ষেত্রে আবার ‘Expiry Date’র সামান্য কয়েকদিন আগে ট্যাবলেটের পাতা হাতে পেয়েছেন অনেকে। সব মিলিয়ে ২ কোটি ৫৭ লক্ষ ২৬ হাজার ৭১ টাকা দামের এমন ওষুধ বিলি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং পেনশনাররা যে ওষুধ বিনামূল্যে পান, তা গবেষণাগারে পাঠিয়েছিল ক্যাগ। সেই ল্যাবের রিপোর্ট বলছে, ওই পাঁচ বছরে কলকাতায় অত্যন্ত নিম্নমানের ওষুধ দেওয়া হয়েছে ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯১৮ জনকে। মুম্বইতে এই সংখ্যাটা সর্বাধিক, ১১ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৬১। যদিও CGHS’র দাবি, ওষুধের মেয়াদ লেখার সময় টাইপোগ্রাফিক্যাল ভুল হয়েছে। তবে এই অজুহাত উড়িয়ে দিয়েছে অডিট সংস্থা। তাদের দাবি, দেশে মাত্র ১৭টি কেসে এমন ‘টাইপো’ বা ছাপা সংক্রান্ত ভুল মিলেছে। ঘটনায় CGHS লিখিতভাবে ভুলও স্বীকার করেছে। কিন্তু কারও কোনও শাস্তি হয়েছে কি না, জানা যায়নি।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রবার রাতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে কলকাতায় এলেন নরেন্দ্র মোদি

রাজভবনের পিস রুম মহিলাদের পিস হেভেনে পরিণত হয়েছে, কটাক্ষ চন্দ্রিমার

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাজভবনের মহিলা কর্মীর

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

তৃণমূলের তারকা প্রচারের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন কুণাল

প্রথম চেষ্টাতেই মাধ্যমিক পাশ করে চমকে দিলেন ফুটপাতের প্রিয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর