নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিডকালে লকডাউনের মধ্যে অনেক অভিভাবকই তাঁদের কাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তার জেরে ছেলেমেয়ের স্কুলে চড়া হারে বেতন তাঁরা দিতে পারেননি। এই ঘটনা একজনের সঙ্গে ঘটেনি। রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার অভিভাবকের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। তার জেরেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। কেননা বেসরকারি স্কুলকর্তৃপক্ষগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বেতন জমা না পড়লে পড়ুয়াদের ক্লাস করা বন্ধ করে দেওয়া হবে স্কুলগুলিতে। সেই সিদ্ধান্তের জেরেই মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই শুক্রবার রায় দিল হাইকোর্ট। সাফ জানিয়ে দিল, অভিভাবকেরা বেতন না মেটালেও ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবেন না বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষগুলি।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, অভিভাবকেরা বেতন দিতে না পারলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ক্লাস বন্ধ করতে পারবে না। পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড না দেওয়া বা তাঁদের পরীক্ষায় বসতে বাধাও দিতে পারবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর আগে রাজ্যের এই শীর্ষ আদালতই কিন্তু নির্দেশ দিয়েছিল, ১০০ শতাংশ বেতন মিটিয়ে দিতে হবে অভিভাবকদের। তা নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে সমস্যার অভিযোগ উঠতে থাকে। কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, বেতন না দেওয়ায় পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। কোথাও অভিযোগ ওঠে, দেওয়া হচ্ছে না অ্যাডমিট কার্ড। এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অভিভাবকদের একাংশ। সেই মামলার শুনানি রয়েছে আগামী সোমবার। তাই এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হোক। কিন্তু আদালত এদিন জানিয়ে দিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনও বেসরকারি স্কুলই বেতন বিভ্রাটের অভিযোগ তুলে পড়ুয়ার শিক্ষায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না। আগামী ১৭ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।