নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলার মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছল সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটের নাগাদ ভবানী ভবনে সিআইডি দফতরে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর তিন আধিকারিক। ন্যাজাট ও বনগাঁ থানায় দায়ের করা মামলার বিভিন্ন নথিপত্র চান তাঁরা। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকারের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এদিনই সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার জন্য তিন দিনের জন্য নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী। যদিও তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে সময় নষ্ট না করে ভবানী ভবনে সিআইডি দফতরে হাজির হন তিন সিবিআই আধিকারিক।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির সরবেরিয়ায় তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে জেরার জন্য হানা দিয়েছিল ইডির আধিকারিকরা। আর ওই হানা দিতে গিয়েই জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল ‘বিজেপি বান্ধব’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জনরোষের মুখে পড়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছিল বীরপুঙ্গব আধিকারিকরা। ওই দিনই ন্যাজাট থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি। গত ১৭ জানুয়ারি ওই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশ ও সিবিআইকে নিয়ে যৌথ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
ওই রায় পছন্দ হয়নি ইডির। যৌথ তদন্তকারী দলের উপরে আস্থা নেই জানিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল। মামলার শুনানিতেই যৌথ সিটের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে ন্যাজাট থানার তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এদিন মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ন্যাজাট এবং বনগাঁ থানার মোট তিনটি অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই।