নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশের মধ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলা(Bengal) যা করে দেখিয়েছে সেটা আর কেউ করে দেখাতে পারেনি। এই বাংলায় রেশনের(Ration) মাধ্যমে সবার জন্য বিনামূল্যে চাল-গম দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। খাদ্যসাথী(Khadyasaathi) প্রকল্পের আওতায় এই পরিষেবা দিয়ে আসছে মমতার সরকার। বাকি রাজ্যগুলিতে শুধু জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার আওতাধীন নাগরিকরাই রেশনের খাদ্য পান। দেশে রেশন ব্যবস্থার এই নয়া পদ্ধতিই এখন ‘বাংলা মডেল’ হয়ে উঠেছে। দেশের প্রায় সব রাজ্যেই তাই দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে যে ‘বাংলা মডেল’(West Bengal Model)-ই রেশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। দেশের সব মানুষকেই দিতে হবে বিনামূল্যের রেশন। এমনকি দেশের একাধিক রাজ্যে একাধিক রেশন ডিলার সংগঠনের পক্ষ থেকে এই মর্মে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাছে তা আবেদন করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার লিখিতভাবে জানিয়ে দিল, পশ্চিমবঙ্গের মতো ব্যবস্থা তারা সারা দেশে চালু করতে চাইছেন না। কার্যত তাঁরা বুঝিয়ে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা পারেন, তা নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) পারেন না।
আরও পড়ুন স্বল্প সঞ্চয়ে গতি আনতে ৪৯টি ব্লকে আধিকারিক নিয়োগ করছে রাজ্য
রেশনের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহের যে ব্যবস্থা বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চালু রেখেছে তা কার্যত গোটা দেশের মানুষের নজর কেড়ে নিয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে তাই দাবি উঠছে ‘বাংলা মডেল’ মেনে সেখানেও রেশন ব্যবস্থায় এই পদ্ধতি লাগু করা হোক। কিন্তু কেন্দ্র সরকার জানাচ্ছে, তারা সারা দেশে ‘বাংলা মডেল’ চালু করতে চাইছেন না। কারণ হিসেবে তাঁরা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনকেই ঢাল করছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, আইনে বলা আছে, শহর এলাকায় ৫০ শতাংশ এবং গ্রামে ৭৫ শতাংশ মানুষ খাদ্য সুরক্ষার আওতায় থাকবে। সেই হিসেবে দেশের ৮০ কোটি মানুষ এখন জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা পান। কিন্তু দেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৪০ কোটি ছুঁয়েছে। জনসংখ্যা বাড়লেও ২০১৩ সালে এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যগুলির যে কোটা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটাই অপরিবর্তিত আছে। রাজ্য সরকারের তরফে কোটা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার উল্টে ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামী দিনে খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের কোটা কমানো হবে।
আরও পড়ুন চলতি বছরেই জনগণনা, কী করবেন মমতা, তাকিয়ে জনতা
কেন্দ্রের এই নীতির জন্য বহু গরিব মানুষ রেশনে বিনা পয়সার খাদ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। আসলে নরেন্দ্র মোদির সরকার মানুষের পেটে লাথি মেরে তাঁর মুখের ভাত কেড়ে নেওয়ার জন্য ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখতে পারে। কিন্তু দেশের মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিতে পারে না। কেননা সেই মানসিকতাই তাঁদের নেই। বাস্তবে মমতা যা বলেন তা করে দেখান। মোদি যা বলেন তার ছিঁটেফোঁটাও আমজনতা দেখতে পান না। মমতা যা পারেন তাই মোদি কোনওদিনই পারবেন না। বাংলার মানুষ তাই বিনামূল্যে রেশন পেলেও দেশের অনান্য রাজ্যে তা পাওয়া যায় না। এটা যতটা না ‘বাংলা মডেল’ তার থেকে অনেক অনেক বেশি ‘মমতা মডেল’।
