নিজস্ব প্রতিনিধি: যোগীরাজ্যে প্রয়াগরাজ(Prayagraj) জেলায় পর পর দুটি ঘটনা ঘটে যেখানে দুটি দলিত পরিবারের ৫জন করে মোট ১০জন সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা ঘটে। সেই হামলাবাজির ঘটনায় যেমন ২ বছরের শিশুকে পর্যন্ত রেয়াত করা হয়নি, তেমনি অভিযোগ উঠেছে দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই খুন করার আগে মহিলাদের গণধর্ষণ করা হয়। সেই দুই ঘটনায় তৃণমূলের(TMC) তরফে ৫ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম(Fact Finding Team) পাঠানো হয় প্রয়াগরাজে যার নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। সেই টিম প্রয়াগরাজ থেকে ঘুরে এসেই চিঠি দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে(NHRC)। সেই সঙ্গে জানায় তাঁরা ওই দুই ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে একাধিক গলদ দেখতে পেয়েছেন। তৃণমূলের সেই চিঠির জেরে বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ১২টার সময় তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে ডেকে পাঠিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি এ কে মিশ্র।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা বারোটার সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তৃণমূলের তরফে দেখা করবেন দোলা সেন, সাকেত গোখলে ও ললিতেশপতি ত্রিপাঠি। গত রবিবার প্রয়াগরাজে গিয়েছিল তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেখানে গিয়ে তৃণমূলের ৫ সদস্যের টিম নিহত দুটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। মৃতদের পরিবারের সদস্যরাই তৃণমূলের প্রতিনিধিদের জানান, পুড়িয়ে দেওয়ার আগে মহিলাদের ধর্ষণ এবং মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের। তৃণমূলের তরফে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যে চিঠি পাঠানো হয় সেখানে সেই সব অভিযোগ ও দাবির কথা বলা হয়। এমনকি তাঁরা এটাও জানায় যে, দুই পরিবার ওই দুই ঘটনায় যে সব গুরুতর তুলেছেন তা ইচ্ছাকৃতভাবেই এফআইআরে রাখেনি যোগীরাজ্যের পুলিশ। এমনকি ওই দুই ঘটনায় যে মহিলাদের নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে সেটাও পুলিশ অভিযোগে রাখেনি। পুলিশ অভিযোগ লিপিবদ্ধ করার সময় ধর্ষণের উল্লেখি করেনি বলে দাবি তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের। এই সব কারণ উল্লেখ করে প্রয়াগরাজ কাণ্ডে মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। যার জেরে আগামিকাল তৃণমূলকে সময় দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।