নিজস্ব প্রতিনিধি: ইন্দোনেশিয়ার বান্দা উপকূলে জন্ম নেওয়া নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) হাজির হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাগরের জল ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম দেওয়ার মতো উষ্ণ না থাকায় কোনও ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাব ঘটেনি। দুর্বল সেই নিম্নচাপ চলে গিয়ে উত্তর মায়ানমার হয়ে বাংলাদেশের পথে। বাংলায় যে তার কোনও প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। এমনকি আবহাওয়াবিদরা এটাও জানিয়েছিলেন, বাংলায় এখন চাঁদি ফাটা গরম মিলবে, সেই সঙ্গে আগামি কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) কোনও জেলাতেই ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। অথচ বুধবার সকালে কলকাতার(Kolkata) ঘুম ভাঙল হালকা কুয়াশা আর মেঘলা আকাশকে সঙ্গে নিয়ে। যদিও আলিপুর আবহাওয়া(Weather) দফতরের দাবি, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘলা আকাশ কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত(Rain) হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সাগরে হাজির হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হলেও বাংলার পরিমণ্ডলে বেশ কিছুটা পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকিয়ে দিয়েছে। তার জেরেই হালকা কুয়াশা আর মেঘের ঘনঘটা কলকাতার আকাশে। কিন্তু এর জেরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে এইন বৃষ্টি হতে পারে উত্তরের জেলাগুলিতে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে এদিন হাল থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে এখন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বরঞ্চ ভ্যাবসা গরম বাড়বে। পাল্লা দিয়ে চড়বে পারাও। এপ্রিলের প্রথম দিকে দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতায় কালবৈশাখীর হাত ধরে ঝড়বৃষ্টি হলেও হতে পারে। তবে তার আগে সম্ভবত আগামী সপ্তাহ থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি তাপপ্রবাহের মুখে পড়তে চলেছে। বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তাপপ্রবাহের প্রকোপ সব থেকে বেশি দেখা যাবে। প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে বলে জানা গিয়েছে।