নিজস্ব প্রতিনিধি : কয়েকমাস আগে ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় অশান্ত হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ফের আরও একবার বিতর্কের কেন্দ্রে কলকাতার এই নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবার এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি জার্নালিজম ও মাস কমিউনিকেশন বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাঁকে পরীক্ষার সময়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করেছেন ওই অধ্যাপক। এতে তাঁর মানসিক শান্তির অবনতি ঘটেছে। তিনি মন দিয়ে পড়াশোনা করতে পারছেন। তাঁর মানসিক অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তাঁর পক্ষে পরীক্ষায় বসা সম্ভব নাও হতে পারে। ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, ওই অধ্যাপক তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। কখনও ওই অধ্যাপক সরাসরি প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কখনও অধ্যাপকের পরিচিতদের মাধ্যমে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনওবারই ছাত্রী সেই প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি হননি।
এরপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীটির যখন পরীক্ষা চলছিল, তখন তাঁকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁকে ওই অধ্যাপক নিজের ঘরে ডেকে নেন ও পরীক্ষায় টুকলির অভিযোগ তুলে অবাঞ্ছিতভাবে ছাত্রীর দেহ স্পর্শ করেন। ছাত্রী বিষয়টি রেকর্ড করে রাখার কথা বললে উল্টে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ছাত্রী রেজিস্ট্রারকে আরও জানিয়েছেন, যে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তার এই অভিযোগ, তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের যোগাযোগ করেছে। সেই সূত্র ধরেই ওই অধ্যাপক এত সাহস পেয়েছেন। যদিও এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ভূমিকা নিয়েছে, সেই বিষয়টি অবশ্য স্পষ্ট নয়।
এর আগে গত বছর আগস্ট মাসে হস্টেল থেকে পড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন স্বপ্নদীপ কুণ্ডু নামে এক পড়ুয়া। পরে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। যদিও সেইসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।