নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতকে বিপথে চালনার অভিযোগ উঠেছিল দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানার আইসির বিরুদ্ধে। এবার সেই আইসির বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পরিচারিকাকে অপহরণের চেষ্টা ও হুমকি মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে(CID) স্থানান্তরের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দেন। ৭ জুনের মধ্যে সিআইডির ডিজিপিকে রিপোর্ট দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা মধু সিং পরিচারিকার কাজ করতেন ওই এলাকারই শশাঙ্ক রাজ সাহুর বাড়িতে। অভিযোগ, গত ২৭ জানুয়ারি বিকাল চারটে নাগাদ মধুদেবী যখন কাজ করে ফিরছিলেন সেইসময় তিন ব্যক্তি তাঁর পথ আটকায়। পথ আটকে তাঁরা শশাঙ্কর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায়। তারা জিজ্ঞেস করে শশাঙ্কর বাড়িতে ক’টি ঘর রয়েছে? কোন ঘরে কে থাকেন? বাড়ি থেকে কে কখন বের হন? অভিযোগ মধুদেবীকে ঘুষ দিয়ে তাঁর থেকে তথ্য বের করে আনার চেষ্টা করে তারা। শশাঙ্কর বাড়ি দখল করে নেওয়ার হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। এই গোটা ঘটনাটি জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পর ৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচ-ছ’জন গাড়ি নিয়ে এসে মধুকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর পর স্থানীয় বাসিন্দারা বিনোদ যাদব নামে এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে এবং গাড়ি থেকে একাধিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে দাবি মামলাকারীর। যদিও সিজার লিস্টে গাড়ি ছাড়া আর কিছু পুলিশ দেখায়নি বলে মধু সিং দাবি করে। পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের আবেদন করা হলেও তা তারা করা হয়নি বলে অভিযোগ। এর মাঝে বাড়ি বয়ে এসে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ডিজিপিকে চিঠি দিয়ে এই মামলা সিআইডি-কে হস্তান্তর করার আবেদন জানান মধু সিং।
সেই মামলায় এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, গত ১৯ এপ্রিল বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু যে রিপোর্ট পেশ করেছেন তাতে একাধিক খামতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু নথি দেখে আদালত মনে করছে যে এই মামলায় আরও অনেক খামতি রয়েছে, যা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উল্লেখ করেননি। যদিও সেই রিপোর্টে পুলিশ সুপার কেন স্বাক্ষর করেননি, তা আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়। য়ার তা নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী জানিয়েছেন, ১৯ এপ্রিল এই রিপোর্টকে অনুমোদন দেওয়ার পর পুলিশ সুপার ছুটিতে গিয়েছিলেন।