নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে বিশেষ বিশেষ মরশুমে প্রতি বছরই ম্যালেরিয়া(Malaria) এবং ডেঙ্গু(Dengue) নিয়ে জেরবার হতে হয় রাজ্য সরকারকে। অস্বস্তির মুখে পড়তে হয় স্থানীয় প্রশাসনকেও। এই অবস্থায় নতুন বছরে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। রাজ্যের তরফে এবার ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে ওয়ার্ড ভিত্তিক Micro Planning। এই পরিকল্পনার সঠিক রূপায়ণে পর্যাপ্ত লোকবল নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। সেই সূত্রেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় প্রায় ১ হাজার পদে Honorary Health Worker নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৪’র ভোটের(General Election 2024) আগেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা State Urban Development Agency বা SUDA এই মর্মে পুরসভাগুলিকে চিঠি দিয়ে দ্রুত সমস্ত নিয়ম মেনে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। মহকুমা শাসকদের দ্বায়িত্বে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর-এলাকায় Honorary Health Worker-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখেন। এলাকা ঘুরে সমীক্ষা চালান। সেই সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে প্রশাসন। এই স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাব থাকলে তৃণমূল স্তরে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরিতেও খামতি থেকে যাবে। আবার মশাবাহিত রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা প্রচারের কাজেও এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তাই দ্রুত এই কর্মীদের নিয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। ২৪’র ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব হবে না। আর যদি এপ্রিলে ভোট হয়, তাহলে এই শূন্যপদ পূরণ করতে করতে বর্ষা এসে যাবে। কোনও এলাকার ২০০টি বাড়ি বা ১ হাজার মানুষের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী নিযুক্ত করা হয়। এলাকার বিবাহিত মহিলাদের এই কাজে নিয়োগ করা হয়। ফলে কাজ পাওয়ার পরে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা থাকে না। তাছাড়া, বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালানোর জন্য এলাকা সম্বন্ধে অবগত থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ।