নিজস্ব প্রতিনিধি: রামনবমী উপলক্ষে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি নেতার মন্তব্য হিংসা ছড়াতে এবং দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। শনিবার রামনবমী পালন নিয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রামের নামে মিছিলে হাতে অস্ত্র থাকবে না তো কি লাড্ডু থাকবে?’ স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি নেতার এমন মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার এমন মন্তব্য হিংসায় ইন্ধন দিতে পারে।
রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল থেকে ভীতি প্রদর্শন করা হতে পারে বলে মনে করছে্ন অনেকে। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে আসানসোলে দাঙ্গা সঙ্ঘটিত হয়েছিল। তাতে আসানসোলের নুরানী মসজিদের ইমাম ইমদাদুল্লাহ রশিদির ১৬ বছরের ছেলে খুন হয়েছিল। ছেলে খুন হয়ে যাওয়ার পর এলাকাবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে কার্যত শান্তির মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দিলীপবাবুর এমন হুংকার বাংলায় নতুন করে অশান্তি জাগিয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
রাজ্যে গেরুয়া শক্তি বিস্তার করতে বিজেপি রামনবমীকে হাতিয়ার করেছিল আগেই। গত দু বছর কোভিড পরিস্থিতি থাকায় জাঁকজমক করে রামনবমী উদযাপন করেনি গেরুয়া শিবির। কিন্তু রাজ্যে সংক্রমণ কমতেই এ বছর বড় আকারে রামনবমী পালনের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জাঁকজমক করে রামনবমী পালন করার কর্মসূচি নিয়েছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চও। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি নিজেদের দলীয় ব্যানারে রামনবমী পালন না করলেও রামনবমীতে দলের নেতা কর্মীরা যোগ দেবেন বলে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।