নিজস্ব প্রতিনিধি: রাইসিনায় পরিবর্তন আসন্ন। আগামী জুলাই মাসেই রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন(Presidential Election)। সেই নির্বাচনেই বিজেপির(BJP) তরফে এনডিএ প্রার্থী হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু(Droupadi Murmu)। যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শুধুমাত্র সাংসদ ও বিধায়কেরাই ভোট দেওয়ার অধিকারী তাই প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ফোন করে সেই দলের সাংসদ ও বিধায়কদের ভোট চাইছেন এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেত্রী। সেই সূত্রেই তিনি এবার বেড়িয়ে পড়তে চলেছেন বিভিন্ন রাজ্য সফরে। প্রতিটি রাজ্যের ও কেন্দ্রশাসিত এলাকার বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে তিনি নিজের স্বপক্ষে ভোট চাইবেন। সেই সূত্রেই তাঁর কলকাতায়(Kolkata) আসার কথাও রয়েছে। সূত্রে খবর, জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতায় আসতে পারেন দ্রৌপদী।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলার এক এক জন বিধায়কের ভোটের মূল্য ১৫১। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৭৭টি আসন। কিন্তু দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হারের জেরে ও দলের আরও কিছু বিধায়কের দলবদলের জেরে বিজেপির বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৭০জন। কিন্তু সেই ৭০জনের ভোটই দ্রৌপদী পাবেন কিনা তা নিয়ে ঘর সন্দেহ রয়েছে খোদ বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই। কেননা একে যেমন এবারে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কোনও দলই তাঁদের সাংসদ ও বিধায়কদের ওপর কোনও হুইপ জারি করতে পারবে না। সব সাংসদ ও বিধায়কেরাই তাঁদের নিজেদের ইচ্ছামতো ভোট দেবেন। আর সেই কারণেই বাংলার বুকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি শিবিরের অন্দরে ব্যাপক হারে ক্রশভোটিং চলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা বিজেপিতে থেকেও বাংলা থেকে নির্বাচিত দলের বেশ কিছু সাংসদ ও বিধায়ক তলে তলে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। আর তাঁরাই ক্রশ ভোটিং করতে পারেন বলে অনুমান।
উল্লেখ্য বাংলার বিধানসভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রশ ভোটিংয়ের ঘটনা কিন্তু খুব বিরল নয়। ২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ শিবিরের প্রার্থী ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি কিন্তু ভোট চাইতে সে বার পশ্চিমবঙ্গে আসেননি। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সেই সময় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল মাত্র তিন। যদিও ভোট গণনার পর দেখা গিয়েছিল, কোবিন্দের পক্ষে পড়েছিল ১৩টি ভোট। কিন্তু এ বার পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েক গুণ বেশি পরিমাণ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দ্রৌপদীর। সেই ভোট নিশ্চিত করতেই কলকাতায় আসবেন তিনি। কিন্তু তিনি এলেও এই ক্রশ ভোটিংয়ের সম্ভাবনা কতখানি ঠেকাতে পারবেন তা নিয়ে খটকা থাকছেই।