নিজস্ব প্রতিনিধি: দিল্লি(New Delhi) গিয়ে কী মুখ খোলা শুরু করে দিলেন কেষ্ট(Anubrata Mondol)? নাকি তদন্তকে ভিন পথে ঠেলে দিচ্ছেন বেশ সুকৌশলে? প্রশ্ন উঠে গেল এই কারণেই যে সূত্রে জানা গিয়েছে কেষ্টমামাকে জেরা করে ED’র হাতে নাকি বিস্ফোরক তথ্য এসেছে। তাঁরা নাকি জানতে পেরেছেন গরু পাচারের(Cattle Smuglling) টাকা BSF’র হাত ধরে বাংলাদেশে(Bangladesh) পাচার হয়ে গিয়েছে। সেই টাকা নাকি সরাসরি বাংলার কোনও প্রভাবশালী নেতার হাতে আসেনি। তবে কেষ্টমামা নাকি এটা জানাননি বাংলাদেশ থেকে সেই টাকা কোথায় গিয়েছে বা কোন ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি নাকি সেই সব কিছু জানেন না। তবে ED-ও ছেড়ে দেওয়ার বান্দা নয়। তাই এবার কেষ্টমামার মেয়ে সুকন্যাকে(Sukanya Mondol) তলব করা হয়েছে দিল্লিতে। সেখানে বাব-বেটিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে বঙ্গ বিজেপি, ৫০ কোটির Over Draft
গোরু পাচারের টাকা কোথায় যেত, তা নিয়ে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে কেষ্টমামাকে। এদিনই শেষ হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের ED হেফাজতের মেয়াদ। ফলে ফের একবার তাঁকে তোলা হয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। সেখানে ED-র আইনজীবীর পক্ষ থেকে ১১ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে আরও জেরার প্রয়োজন আছে বলেই আদালতে জানিয়েছে ED। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিং দুই পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর নিজে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি কিছু বলবেন কি না প্রশ্ন করেন বিচারক। জবাব অনুব্রত মণ্ডল দোভাষীর মাধ্যমে ‘না’ বলেন। এরপর বিচারক অনুব্রত মণ্ডলকে কিছু খাইয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ED-কে। সম্ভবত ৭ দিনের জন্য কেষ্টমামাকে আবারও ED’র হাতেই তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন অনুব্রত ইস্যুতে ফের বিরোধীদের নিশানা করলেন মদন মিত্র
এদিকে ED সূত্রে জানা গিয়েছে শুধু সুকন্যাই নয়, এনামুল হক, কেষ্টমামার দেহরক্ষী সেয়গাল হোসেন, কেষ্টমামার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, কেষ্টমামার ঘনিষ্ঠ চালকল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যর সঙ্গে কেষ্টমামাকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই কেষ্টমামার নামে ১০০’র বেশি জমিজমা, চালকল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে ২৬টি সম্পত্তির মালিক সুকন্যা মণ্ডল, যার পরিমাণ প্রায় ৫৭ কোটি টাকা। সুকন্যার ব্যাঙ্কে ৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, সাত বছরে ১২ কোটি টাকার জমি কেনার সন্ধান মিলেছিল। আগেও সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু, সে সময় সবই বাবা জানেন বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন কেষ্ট কন্যা। কিন্তু এবার বাবা আর মেয়ে মুখোমুখি বসে ইডির আধিকারিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন।