নিজস্ব প্রতিনিধি: যুগলের দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নতুন তথ্য। প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা ওই তরুণ-তরুণী। মৃত তরুণীর দেহ নিতে অস্বীকার করল তাঁর পরিবার। কলকাতা পুলিশের তরফে রাজস্থানে তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ কথা জানায় তারা।
মৃত তরুণী সঙ্গীতা কুমারের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ‘পালিয়ে যাওয়ায় মেয়েকে আগেই মৃত বলে ধরে নিয়েছি।’ পাশাপাশি পরিবারের সম্মান রক্ষার স্বার্থে তরুণীর দেহ তারা নেবে না বলে পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, প্রেম পরিণতি না পাওয়ায় আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ওই যুগল। রাজস্থানের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী দীনেশ কুমার এবং ১৯ বছর বয়সী সঙ্গীতা কুমার কলকাতায় এসে এক বন্ধুর ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী হন। তিন দিন আগেই রাজস্থান থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ওই যুগল। বুধবার রাতে দেহ উদ্ধারের পর কলকাতা পুলিশের তরফে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পর রাজস্থান পুলিশের তরফে জানানো হয়, দীনেশ কুমার এবং সঙ্গীতা কুমার ৭ জুন রাজস্থান ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। গত ৮ তারিখে ওই তরুণীর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। একইসঙ্গে একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয় পরিবারের তরফে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীনেশ কুমার বিবাহিত। সৌদি আরবে কাজ করে সম্প্রতি রাজস্থানে ফিরেছেন তিনি। ১৯ বছর বয়সী সঙ্গীতার সঙ্গে তিনি প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রাণভয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ওই যুগল। একসময় কলকাতায় এসে পৌঁছন তাঁরা। তাঁদের প্রেম পরিণতি পাবে না ভেবে অবশেষে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণ এবং তরুণী।