নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাড়া বৃদ্ধির নামে যথেচ্ছ টাকা আদায় করছেন বাস মালিকেরা। আমজনতা যেটাকে ‘লুঠ’ বলে দাবি করছেন। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে(KoLkata high court) দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা, তাও হুঁশ ফিরছে না বাস মালিকদের। এবার সেই দৌরাত্ম কমাতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পরিবহণ দফতর। ভাড়ার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যাবে না, বুধবার বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad hakim)। রাজ্য সরকার সম্প্রতি ট্রাফিক আইনের জরিমানার নিয়মে বদল ঘটিয়েছে। ট্রাফিক আইন ভাঙলেই মোটা টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে বাস মালিকদের। আবার বাস ভাড়া নিয়ে উঠছে অভিযোগ। এই সমস্ত অভাব-অভিযোগ নিয়েই বৈঠকে বসেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad hakim)। বৈঠক শেষে ফিরহাদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত ভাড়ার সমস্যা মেটাতে এবার থেকে প্রতি বাসে ফেয়ার চার্ট টাঙানো বাধ্যতামূলক।
সেই ফেয়ার চার্ট বানিয়ে দেবে রাজ্যই, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মন্ত্রী। যদিও পরিবহণ মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কর্নপাত করতে নারাজ বাস মালিকেরা। তাঁদের দাবি, গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম আকাশছোঁয়া, ডিজেলের দাম বাড়ছে, করোনাতে তাঁদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। এরপরেও জরিমানা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাস মালিকেরা। এইভাবে রাস্তায় বাস নামানো সম্ভব নয়। যদিও ফিরহাদ হাকিম(Firhad hakim) জানিয়েছেন, ভাড়া বাড়িয়ে মানুষের কাঁধে বোঝা চাপানো যাবে না। এছাড়াও বাস ভাড়া বাড়ালেও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ। তাই এবার শহরে প্রত্যেক বাস স্ট্যান্ডে বসছে অভিযোগ বাক্স। যাতে আমজনতা নিজের পরিচয় গোপনে রেখে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন মেট্রোর রেলের কর্তারা। মেট্রোর কাজের জন্য বিবাদী বাগের বাসস্ট্যান্ড ভাঙা পড়েছে। সেই বাসস্ট্যান্ড নিয়েও আলোচনা হয়। তাতে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad hakim) জানিয়েছেন, বিবাদী বাগে মহাকরণের অনুকরণে তৈরি হবে বাসস্ট্যান্ড। সেখানে মিলবে আধুনিক সুযোগ সুবিধা। দ্রুত এই নকশা তৈরি করে কেএমআরসিএলের হাতে তুলে দেওয়া হবে।