নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘চেতলায় জন্ম নিয়ে আমি বড় হয়েছি। বাংলার রাজনীতিতে আমার অনেকদিন হয়ে গেল। আমি প্রশ্ন করতে চাই আমি কি চুরি করেছি ? আমি কি চোর বারবার কেন আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে? বিজেপিতে আমি নাম লেখাবো না তার জন্যই আমার ওপর এই হেনস্থা এবং আমার পরিবারের উপর এই হেনস্থা? আমি কি অপরাধ করেছি? আমি ছোট করে ব্যবসা করে সেখান থেকে মানুষের সেবা করেছি। এটাই কি আমার অপরাধ? কেন বারবার করে আমাকে হেনস্তা? অ্যাক্ট অনুযায়ী পৌরমন্ত্রীর পৌর নিয়োগের সঙ্গে কি সম্পর্ক আছে? বারবার করে প্রমাণ করতে চাইছে নিয়োগ দুর্নীতি। যারা চাকরির জন্য টাকা নেয় তারা আমি মনে করি সবচেয়ে বড় কিট। চাকরির জন্য টাকা নেওয়া থেকে নিজের মায়ের মাংস খাওয়া ভালো। বারবার করে বলছে চোর চোর। আমি বামফ্রন্ট আমলেও কেস খেয়েছি। রাইটিং কেস, অন্যান্য কেস। কিন্তু কখনো এরকম অন্যায় হয়নি।’রবিবার সিবিআই চেতলার বাসভবন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই একের পর এক প্রশ্ন সাংবাদিকদের সামনে ছুঁড়ে দেন ফিরহাদ হাকিম।
তিনি আরোও বলেন,মনে রাখুন আমি কখনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই। ২৫ বছর ধরে কাউন্সিলর ছিলাম। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি কোন একজন কন্ট্রাক্টার বা চেতলার কোন একজন মানুষ এসে সরাসরি বলুক ববি হাকিম তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। নিজের ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে দিনের পর দিন মানুষের সেবা করেছি। কেন আজ জাস্টিস অমৃতা সিনহা জিজ্ঞাসা করবেন না যে এখান থেকে কি পেলেন? কেন আমি বারবার হেনস্থা হবো? কোনদিন জীবনে কোন অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হই নি। কখনো নেশা ভান করিনি, কোন ফুর্তি করিনি, মানুষের সেবা করতে এসেছি। ব্যক্তিগতভাবে সুজন বাবু জানেন রাজনীতি ছেড়ে বলুন আমি চোর ? দিলীপ ঘোষ ব্যক্তিগতভাবে আমাকে জানেন বলুন ,আমি চোর? নারোদা মামলায় ভেবেছিলাম আদালতে বিচার পাব, কিন্তু কিছুই হলো না ।কারণ শুভেন্দু একই কেসে রয়েছে তার কিছু হলো না, চার্জ ফ্রেম হলো না ফলে কিছু হবে না। বিজেপিকে বলে দিই জেনে রাখুন আমাকে, কিন্তু অপমান করবেন না, অপমান করবেন না। আবার বলছি, আমাকে অপমান করবেন না। একটা ছোট লোকের দল সামনে দিয়ে লড়তে পারে না, মিথ্যে অপবাদ দিয়ে পিছন থেকে লড়াই করছে।
দীর্ঘ সাড়ে ৯ ঘন্টা সিবিআইয়ের জেরার পর এভাবেই নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। নারোদাতে আমি কি অন্যায় করেছি ?তাতে আমাকে জেল খাটতে হয়েছিল, আমার কি অন্যায় ছিল? কিন্তু কেন আমাকে হেনস্থা কতিনি আরোও বলেন,হচ্ছে আমার পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে বারবার সাংবাদিকদের কাছে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরোও বলেন,এটা সিবিআই- র দোষ না, যারা দিল্লি থেকে অর্ডার দিচ্ছে, যারা আমাদের সঙ্গে এখানে লড়াই করতে পারে না তারা অর্ডার দিচ্ছে তাদের দোষ। কিন্তু আমি জানিয়ে দিই আমি যাব না আমি আমার আদর্শ ছেড়ে বিজেপিতে যাব না। ফিরহাদ হাকিম জানান, সিবিআই অফিসাররা তার ব্যক্তিগত যা যা সম্পত্তি রয়েছে তার পরিবারের যে সকল গহনাগাটি রয়েছে এবং পাসপোর্ট সহ যা যা তথ্য রয়েছে তার তালিকা তৈরি করে নিয়ে গিয়েছেন। ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, সারাদিনে তল্লাশি শেষে নির্যাস ‘বিগ জিরো’। সামাজিক সম্মান প্রসঙ্গ তুলে ফিরহাদ বলেন, আমরা মানুষের পাশে থাকি, মানুষের সেবা করি ,একটাই কাজ হলো সামাজিক সম্মান। সেই ১৬ সাল থেকে শুরু করেছে সামাজিক সম্মান নষ্ট করার। রবিবার হল ফলস। বিষয়টি হল ক্লাবের চাঁদা দিতে গিয়ে জেল খাটতে হচ্ছে।সিবিআইয়ের তল্লাশি প্রসঙ্গে রবিবার সাংবাদিকদের সামনে এভাবেই আগাগোড়া তোপ দাগেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
