নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনদের নামের তালিকায় নয়া সংযোজন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly)। ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনার পর থেকে হৈমন্তীকে নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। সেই আবহে এই মডেল তথা অভিনেত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেন তাঁর মা। মেয়ের কর্মকাণ্ডে তিতিবিরক্ত তিনি। বাবা মায়ের বড় মেয়ে তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্ষুব্ধ হয়ে হৈমন্তীর মা জানিয়ে দিলেন, ‘মেয়ে মরে গিয়েছে’।
হাওড়ার উত্তর বাকসাড়া এলাকায় পৈতৃক বাড়ি হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। শুক্রবার সেখানে পৌঁছে যান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সেখানে বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেন সাংবাদিকরা। এদিন সংবাদমাধ্যমকে হৈমন্তীর মা জানান, হৈমন্তী অনেক কিছু করত। কিন্তু সমস্ত বিষয় তাঁরা জানতেন না। শুধু তাই নয়, মেয়ের কর্মকাণ্ডে তিনি যে বিরক্ত তা জানিয়ে দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমায় কেন ডিসটার্ব (বিরক্ত) করছেন? কবে বিয়ে হয়েছিল, জানি না। ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। হৈমন্তী অনেক কিছুই করত। কিন্তু আমরা কিছুই জানি না। মেয়ের ভালবাসা করে বিয়ে হয়েছিল। আগে গাড়ি আসত। এখন আর কেউ আসে না। মেয়ে মারা গিয়েছে!’
উল্লেখ্য টালিগঞ্জে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। গোপাল দলপতির সঙ্গে পার্টনারশিপে কোম্পানিও খুলেছিলেন তিনি। সেই সংস্থার নাম দিয়েছিলেন হৈমন্তী অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড। সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন গোপাল এবং হৈমন্তী। ন-বছর পর রাতারাতি আচমকা বন্ধ হয়ে যায় সংস্থাটি। এর মাঝে গত দু বছর আগে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হন গোপাল। কৃতকর্মের জন্য তিহারে জেলও খাটেন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পান।