এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্ত্রীকে ডিভোর্সের কথা বলে লিভ-ইন, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ মানেই প্রতারণা নয়: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি: কোনও মহিলার সঙ্গে লিভ-ইন করেছেন কোনও ব্যক্তি। যদিও পুরুষ বিবাহিত। অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে লিভ-ইন করার সময়ে ওই ব্যক্তি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে লিভ-ইন পার্টনারকে বিয়ে করবেন। তবে ভবিষ্যতে ওই ব্যক্তি যদি প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারেন তার মানেই প্রতারণা হয়ে যায় না। এমনটাই মত কলকাতা হাইকোর্টের (HC) সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরীর।

সম্প্রতি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিভ-ইন করার জন্য নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রতারণা ও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। উল্লেখ্য, বিবাহিত পুরুষের একটি কন্যা সন্তান আছে। তাঁর স্ত্রী থাকেন মুম্বইয়ে।

লিভ-ইন করা মহিলার অভিযোগ, পুরুষটির সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি ছিল, স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে ওই মহিলাকে বিয়ে করবেন তিনি। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতির মন্তব্য, অভিযুক্ত লিভ-ইন করার সময়েই জানিয়েছিলেন তিনি বিবাহিত ও তাঁদের সন্তান আছে। সব জেনেই অভিযোগকারী মহিলা থাকতে চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তির সঙ্গে। সেই কারণেই অভিযোগকারী ওই ব্যক্তির ফ্ল্যাটে শিফট করেছিলেন। ১১ মাস তাঁরা ছিলেন একসঙ্গে।

প্রতিশ্রুতি ছিল লিভ-ইন পার্টনারকে বিয়ে করার। আদালতের মন্তব্য, এই প্রতিশ্রুতি সরল নয়। তা নির্ভর করে প্রথম বিয়ে ভাঙার ওপর। ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত ওই ব্যক্তি একা নিতে পারতেন না। স্ত্রী সম্মত না হলে আদালতে মামলা করতে হতো তাঁকে। বিচারপতি বলেন, লিভ-ইনের সম্পর্কে শুরু থেকেই অনিশ্চয়তা ছিল। সব জেনেই ঝুঁকি নিয়েছিলেন অভিযোগকারী। প্রসঙ্গত, বেকসুর খালাস পেয়েছেন অভিযুক্ত। বলা হয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আর্থিক বা শারীরিকভাবে অভিযোগকারী মহিলাকে শোষণ করার কোনও গোপন উদ্দেশ্যের প্রমাণ পেশ হয়নি আদালতে।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য। তা না হওয়ায় আর সেই চেষ্টা না করে নিজের মত বদল করেন তিনি। তিনি ভেবেছিলেন, ডিভোর্স হলে কন্যা সন্তানের ওপরে বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং পরিবারের সম্মান নষ্ট হবে। উল্লেখ্য, অভিযোগকারী মহিলা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। নিম্ন আদালত ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। যার মধ্যে ৮ লক্ষ টাকা মহিলা পেতেন। হাইকোর্টের মন্তব্য, সম্ভবত ট্রায়াল কোর্ট বাইরের ইস্যুগুলিতে প্রভাবিত হয়েছিল। তাই নির্দেশে ত্রুটি ছিল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর