নিজস্ব প্রতিবেদক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরও পড়ুয়াদের স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছিল না একাধিক বেসরকারি স্কুল। উপায় না দেখে বুধবার পড়ুয়াদের নিয়েই আদালতে এসেছিলেন অভিভাবকরা। অবশেষে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ ফের জানিয়ে দিল। ফি বকেয়া থাকলেও কোনও পড়ুয়াকে স্কুলে ঢোকা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আটকানো যাবে না মার্কশিটও। স্কুল থেকে বরখাস্ত করার মত কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না কর্তৃপক্ষ।
করোনা পরিস্থিতিতে অনেক পড়ুয়া স্কুলের নির্ধারিত ফি জমা দিতে পারেনি। আর তার জন্য তাদের মার্কশিট আটকানো যাবে না বলেও নির্দেশ দিল আদালত। ওই পড়ুয়াদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া থেকেও আটকানো যাবে না। পাশাপাশি এ বিষয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকাও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জুন।
বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চ একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেয়। আদালত জানায়, ফি বকেয়া থাকলেও রাজ্যের ১৪৫টি বেসরকারি স্কুল কোনও পড়ুয়ার উত্তীর্ণ হওয়া বা তার মার্কশিট আটকাতে পারবে না। সমস্ত পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে যোগদান করতে দিতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। পাশাপাশি, করোনা কালে কোন পড়ুয়া কত ফি দিয়েছেন তার হিসাব আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকদের দিতে হবে। আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক সব নথি খতিয়ে দেখে কোন পড়ুয়ার কত টাকা বকেয়া রয়েছে তা নির্ধারণ করবেন। আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক যে বকেয়া ফি নির্ধারণ করবেন তা দিতে হবে অভিভাবকদের। যারা করোনা কালে কোনও ফি-ই দেননি তাদের নামও নথিবদ্ধ করবে আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক। পাশাপাশি, অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা। অভিভাবকরা নতুন সেশনে কোনও ছাড় ছাড়াই বেতন দেবেন। করোনা কালের হিসেব অনুযায়ী যে বেতন দিয়েছেন তার স্টেটমেন্ট রাখতে হবে অভিভাবকদের। শেষ টাকা দেওয়ার প্রমাণ রাখতে হবে।