নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে যে রোগের যে ওষুধ। বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের(Jagdeep Dhankhar) বিরুদ্ধে সেই ওষুধই শুক্রবার প্রয়োগ করলেন বিজেপি ছুট নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন দ্য ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যাকাউন্টস অফ ইন্ডিয়ার সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে। সেখানেই এদিন তিনি সরন হন রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে। সরব হন তাঁকে কীভাবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির(Universities) উপাচার্যরা(Vice Chancellors) এড়িয়ে চলেছেন সেই বিষয়ে। রাজ্যপালের সেই বক্তব্যের জেরেই এদিন তাঁকে পাল্টা বিঁধেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার(Jayprakash Majumdar)।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? এদিন দ্য ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যাকাউন্টস অফ ইন্ডিয়ার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজ বক্তব্য রাখার সময়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘রাজ্যে শিক্ষার হাল দেখে রাতে আমার ঘুম আসছে না। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। উপাচার্যরা আমাকে এড়িয়ে চলেন। চারপাশের শিক্ষাব্যবস্থার হাল দেখে আমি খুবই ব্যাথিত। উপাচার্যরা ইউনিয়ন করতে ব্যস্ত। এসব করলে রেয়াত নয়। উচ্চপর্যায়ের কমিটিও তৈরি করেছি। তাঁরাই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।’ রাজ্যপালের সেই বক্তব্যের যোগ্য জবাব এদিন দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বলেছেন, ‘আপনি অনেক কথা বলছেন। আর বাংলাকে অপমান করবেন না। বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতিকে অপমান করার কোনও অধিকার কেউ আপনাকে দেননি। শিক্ষাবিদদের অপমান করতে পারেন না আপনি।’
উল্লেখ্য, রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত নতুন নয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। এর আগেও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। টুইট করে কিংবা চিঠির মাধ্যমে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ডেকে পাঠিয়েছেনও তিনি। তবে কেউই রাজভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। গত বছর তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বাকযুদ্ধেও জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজ্যপাল। তারই মাঝে এবার একেবারে সরাসরি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে জনসমক্ষেই উষ্মাপ্রকাশ করলেন তিনি। তার ফলে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যে আরও প্রকট হল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে জয়প্রকাশও তাঁকে এদিন যোগ্য জবাব দিয়েছেন বলেই মনে করছেন রাজ্যের শিক্ষামহলের অনেকেই। রাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে যেভাবে যত্রতত্র তিনি ধারাবাহিক ভাবে বাংলার নিন্দা কড়ে বেড়াচ্ছেন তা কখনই রাজ্যবাসী মেনে নেবে না। তাই রাজ্যপাল যে ভাষা বোঝেন সেই ভাষাতেই তাঁকে এদিন যোগ্য জবাব দিয়েছেন জয়প্রকাশ, এমনটাই অভিমত রাজ্যের শিক্ষাবিদদের একাংশের।