নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিস ভট্টাচার্য (Debashis Bhattacharya)। রবিবার ভোরে দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে লিউকোমিয়ায় ভুগছিলেন দেবাশিসবাবু। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। সাংবাদিক দেবাশিস ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিশিষ্ট সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দেবাশিস ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছে কলকাতা প্রেস ক্লাব (Press Club Kolkata)।
দর্পন পত্রিকায় প্রথমে সাংবাদিকতা শুরু করেন দেবাশিস ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন আজকাল সংবাদপত্রে রাজনৈতিক সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া আকাশ বাংলা, কলকাতা টিভিতেও তিনি দায়িত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি লিখেছেন একাধিক বইও। তাঁর লেখা ‘ইন্দিরার কারাগারে’, ‘সত্তরের দিনগুলি’, ‘সেই ত্রিশ বছর’ পাঠক মহলে সমাদৃত হয়েছে। সাংবাদিক দেবাশিস ভট্টাচার্য প্রথম জীবনে বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। নকশালপন্থী আন্দোলনে যোগ দিয়ে কয়েকবছর জেলেও থাকতে হয় তাঁকে। রবিবার তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে শোকের ছায়া নেমে আসে তাঁর বন্ধু ও অনুরাগীদের মধ্যে। প্রয়াত দেবাশিসবাবু রেখে গেলেন স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতিকে।
বিশিষ্ট সাংবাদিকের প্রয়াণে শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিস ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। দেবাশিসবাবু দীর্ঘদিন দর্পণ, আজকাল, শ্রমজীবী মা মাটি মানুষ পত্রিকা এবং আকাশ বাংলা, ২৪ ঘন্টা, কলকাতা টিভি, বাংলা জাগো টেলিভিশন চ্যানেলে সাংবাদিকতা করেছেন। শ্রনজীবী মা মাটি মানুষ সংবাদ সাপ্তাহিক-এর তিনি সম্পাদক ছিলেন। আমি তাঁর আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’ ‘তাঁর চলে যাওয়া সাংবাদিকতা জগতে অপূরণীয় ক্ষতি’ বলে শোকবার্তায় লিখেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পুর্ণেন্দু বসুও শোকপ্রকাশ করেছেন।
কলকাতা প্রেস ক্লাবের তরফে শোক প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ‘প্রেস ক্লাব কলকাতা প্রয়াত সাংবাদিক দেবাশিস ভট্টাচার্যের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছে এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।’