এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ভরা এজলাসে এজির কাছে ক্ষমা চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সবাইকে আবারও চমকে দিলেন তিনি। ভরা এজলাসে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বা এজির(AG of the State) কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তিনি। জানালেন রাগের মাথায় অনেক কথা বলেছেন। ও সব কথা যে বলা উচিত হয়নি। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Justice Abhijit Gangopadhay)। সম্প্রতি রাজ্যের সরকারি মেডিকেল কলেজে সংরক্ষিত আসনে ভর্তি দুর্নীতি নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা আবার শুনানির জন্য ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেই মামলার শুনানিতেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তীব্র বাদানুনাদ হয় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বা এজি কিশোর দত্তের(Kishore Dutta)। সেদিনের ওই ঘটনার জেরেই এদিনের ক্ষমা প্রার্থনা বলেই জানা গিয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই ভরা এজলাসে ক্ষমা(Apologize) চেয়েছেন কিশোর দত্তের কাছে।  

জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে নিজের এজলাসে কিশোর দত্তকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিশোর দত্ত তাঁর এজলাসে এলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘সে দিন আমি রাগের মাথায় অনেক কিছু বলেছি। বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের সকলের তা জানা উচিত। আমি আমার বন্ধুর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিশোরের সঙ্গে আমার বহু পুরনো সম্পর্ক। রাগের মাথায় অনেক কথা বলে ফেলেছি। ও সব কথা যে বলা উচিত হয়নি।’ উল্লেখ্য, কিশোর দত্তের প্রতি অবাঞ্ছিত মন্তব্যের জেরে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ সরব হন যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে ওই ঘটনার জন্য কিশোর দত্তের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমকে চিঠিও দিয়েছিলেন তাঁরা। এজির উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য ‘কলকাতা হাইকোর্টের অবমাননা’ বলেও চিঠিতে অভিযোগ করেছিলেন আইনজীবীদের ওই অংশ।

এদিন নিজের এজলাসে সেই সব আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারা জানেন না কিশোর আমার কত উপকার করেছে। এমনও হয়েছে কিশোর এবং আমার আর এক বন্ধু না থাকলে আমি মরেই যেতাম! আমার বন্ধু কিশোরের কাছে আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আমার কথায় তিনি আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন।’ এরপর তিনি কিশোর দত্তকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি আপনাকে অনেক কিছু বলেছি। আমি আপনাকে বহু বছর ধরে চিনি। প্রায় ৩৭ বছর হবে আমাদের পরিচয়। আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি খুবই দুঃখিত। সে দিন আমি যা বলেছিলাম, আপনি পাল্টা তার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। তবে আমার কথাগুলো ছিল ক্রোধের বশে। আপনার উদ্দেশে কিছু বলার মানসিকতা আমার ছিল না।’ বিচারপতি ক্ষমা চাইতেই এজিও জানান, ‘আমিও তো ওই দিন অনেক কিছু বলেছিলাম। না বলাই উচিত ছিল।’ এরপরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আবার জানান, ‘কিশোর, আমি, জয়মাল্য সহ আরও কয়েকজন একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতাম। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর