নিজস্ব প্রতিনিধি: বাইরে যখন শ্য়ামা পুজোর রেশ, রং বেরংয়ের বাহারি আলোয় ঝলমল করছে চারদিক। ঠিক তখনই রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়।
১৬ নভেম্বর অবধি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্য়েই ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। কিন্তু গ্রেফতারির পর শারীরিক অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতির পরই রবিরার তাঁকে আনা হয় প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা ২২ নম্বর সেলে। ওই সেলে একাই থাকছেন তিনি।
সেখানেই কাটে তাঁর জেলের প্রথম রাত। জেলের মেঝেতেই কম্বল পেতে শুতে হয়েছে তাঁকে। আদালত থেকে খাট দেওয়া সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ না দেওয়ায় মেঝেতে কম্বলের উপর শুতে হয়েছে বালুকে। প্রেসিডেন্সি জেলের এই সেলে সবথেকে বেশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। এই সেলেই রয়েছে এ রাজ্যের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার অধিকাংশ অভিযুক্ত। তবে সেলের মধ্যে নেই টিভি, খাট, খবরের কাগজের মতো পরিষেবা। তবে তার শরীর এখন অনেকটা ভাল আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে কারও সঙ্গে কথা বলেননি মন্ত্রী। সকালে সেলের বাইরে একবার উঁকি দিয়ে দেখেছেন মাত্র। এখানে একা কি করবেন সেটা বুঝতে পারছেন না জ্যোতিপ্রিয়। তবে খাট না পেলেও জেলের খাবার খেতে হয়নি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। আদালতের নির্দেশ মতো ডায়েট অনুযায়ী খাবার দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বনমন্ত্রীকে। রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে এখন তদন্ত শুরু করেছে ইডি। তবে জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে আর কোনও প্রমাণ পরবর্তী ক্ষেত্রে ইডি আদালতে পেশ করেন কিনা সেটাই দেখার।