নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ বাঁধার আগে খুঁটি পুজো সেরে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। একুশে জুলাই যে মঞ্চ থেকে ভাষণ দেবেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী বুধবার সেই মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। ধর্মতলায় ওই মঞ্চস্থলে খুঁটি পুজো করে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু করা হয়। এদিন এই খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা। ছিলেন সুব্রত বক্সী, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ সান্তনু সেন, বিধায়ক তাপস রায়-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা।
দীর্ঘ দু বছর ধরে কোভিড পরিস্থিতি থাকায় ভার্চুয়ালি একুশে জুলাইয়ের সভা হয়েছে। দু বছর পর এবার ধর্মতলায় এই সভা হতে চলেছে। যার ফলে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে এক আলাদা উদ্দীপনা কাজ করছে এই শহীদ সমাবেশের সভাকে ঘিরে। এই জনসমাবেশে রেকর্ড ভিড় হবে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গ থেকেও বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থক এই সমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন মঞ্চস্থল ঘুরে দেখে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভিত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ধর্মতলার বুকে আমরা আমাদের প্রিয় ১৩ জন সহকর্মীকে হারিয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। কয়েকশো সহকর্মী আহত হয়েছিলেন। কারণ একটাই, সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল। ১৯৯৩ সালের একুশে জুলাইয়ের পর থেকে যতদিন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধযায়ের নেতৃত্বে এখানে সহীদ তর্পণ হয়েছে। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হওয়ার পর থেকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকে আমরা এই দিনটি পালন করে চলেছি।’
অন্যদিকে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধেও এদিন তোপ দাগেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংসদে অশোকস্তম্ভে সিংহের মুখ বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠেছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তা নিয়ে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘শুধু সিংহের মুখ নয়, ভারতবর্ষের ইতিহাসকে বিকৃত করা, ভারতবর্ষের ইতিহাসকে পরিবর্তন করার একটা চেষ্টা বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার করছে। সংস্কৃতিকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। বিভেদ সৃষ্টি করবার চেষ্টা করছে। অশোকস্তম্ভ তার থেকে বাদ যায়নি। এটা তাদের একটা বিকৃত চেষ্টা বলে মনে করি।’