নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা বিমানবন্দরের যাত্রী নির্ধারণের ক্ষমতা সীমা লঙ্ঘন করছে। খুব শীঘ্রই বিকল্প আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থা করতেই হবে। সেক্ষেত্রে কলকাতা বিমানবন্দরের সংলগ্ন এলাকা থেকে জমি নিতে গেলে চাপে পড়তে হতে পারে রাজ্যকে। যেহেতু দমদমের বিমানবন্দরের পিছনের দিকে এলাকাগুলি ভাঙর এলাকায়। সবই বসতবাড়ি। তাই জোর করে জমি নেওয়া চলবে না। সোমবার উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার আগে এই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন জানিয়েছেন, ‘সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি হতে দেব না। কলকাতা বিমানবন্দরের পরিসর বৃদ্ধি করতে ৩০-৪০ কিলোমিটারের মধ্যে বিমানবন্দরের জন্য একলপ্তে কয়েক হাজার একর জমি দরকার। কিন্তু ভাঙর এলাকায় অনেক মানুষের বসবাস। সবাইকে জোর করে উচ্ছেদ করতে পারব না। আর দশ বছর হাতে এখনও অনেক সময় আছে।’
মমতা এও বলেন, ‘জমি দিচ্ছে না! তাঁরা কেন জমি দিচ্ছে না! কলকাতা বিমানবন্দরের আরও ১ হাজার একর জমি লাগবে। আমি কি সব বাড়িগুলোকে সরিয়ে দেব! এটা কি কখনও সম্ভব? তৃতীয় রানওয়ে তো করে দিয়েছি। এরপর ১ হাজার একর যে জমি নতুন করে বিমান বন্দরের জন্য দরকার সেটা তো খুঁজতে হবে। এত সহজ নয় বিষয়টা। আমি এখানে আবার সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম করতে দেব না। এভাবে জোর করে মানুষের থেকে জমি নিয়ে… কোচবিহারে আমি করে দিয়েছি কতদিন আগে। এখনও পর্যন্ত রিজিওনাল কানেক্টিভিটি শুরু করেনি। মালদা তৈরি, বালুরঘাট তৈরি। সেগুলো কেন হয়নি? রিজিওনাল কানেক্টিভিটির কাজ একটাও করেনি। অন্ডালের বিমানবন্দরের ব্যবস্থা আমি তৈরি করে দিয়েছি। নতুন কলকাতা বিমানবন্দরের জন্য আমি সবাইকে এভাবে উচ্ছেদ করতে পারি না। যখন জমি পাওয়া যাবে, তখন এই কাজ আমরা করতে পারব। আমিও চাই জমি পাওয়া যাক। কিন্তু আপনারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলুন না, এক হাজার একর ফাঁকা জমি আমাকে দেওয়ার জন্য। আমরা কাউকে জোর করে সরাতে পারব না। এটা আমাদের নীতি নয়।”
দু’দিন আগেই কলকাতা বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের বিষয়গুলি জানার জন্য আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। উত্তর-পূর্ব ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ মূল চাবিকাঠি। আমরা কলকাতায় দ্বিতীয় বিমানবন্দর গড়ে তোলার জন্য জায়গা খুঁজছি। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এগিয়ে এসে আমাদের সঙ্গে সমস্ত সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।’