নিজস্ব প্রতিনিধি: টানটান উত্তেজনা, শুক্রবারের সারাদিন সংবাদের শিরোনামে ছিল লালবাড়ির যুদ্ধে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ। পরীক্ষায় কারা কারা বসবেন তাই চলছিল তদন্ত। দুপুরেই চমক দিয়ে সিপিএমের তরফে ১৬ টি আসন বাদে বাকি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সবেতেই জোর দেওয়া হয়েছে তারুণ্যে ও মহিলা মুখে। বেলা গড়াতেই বিকেলে কালীঘাটে নিজের বাসভবনে কলকাতা পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেই বৈঠকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও হাজির ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস ও প্রশান্ত কিশোর। টানা তিনঘণ্টা বৈঠক শেষে ১৪২ জনের নাম রাতেই ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সমস্ত আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়েছে। ছয় বিধায়ক হয়েছেন পুরভোটের প্রার্থী। কিন্তু বাকি রয়েছে দুই আসন। যার মধ্যে বেহালা পশ্চিমের ১১৯ নং ওয়ার্ড ও বেলেঘাটার ৩৬ নং ওয়ার্ড। এখন কলকাতার রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে এই দুই আসনে তাহলে কারা প্রার্থী হচ্ছেন? তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই আসনে কলকাতা পুরভোটে দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিকে প্রার্থী করতে চাইছে দল। যার মধ্যে একজনের নাম নিয়ে জল্পনা চলছেই। বাবুল সুপ্রিয়কে বেলেঘাটা (জেনারেল) আসনে ৩৬ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী করার জন্য কথা চালাচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ আগেই বাবুল জানিয়েছিলেন তিনি সেরা একাদশের খেলোয়াড়। আর তাঁকে লালবাড়ির লড়াইয়ে প্রধান মুখ করা হতে পারেও বলে জানা গিয়েছে। এখনও সেই সম্ভাবনা যায় নি কারণ, তৃণমূলের তরফে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট জানানো হয়েছে মেয়র মুখ কেউ থাকছেন না। ভোটে জেতার পর কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্তে মেয়রের নাম ঘোষণা হবে। সেদিক দিয়ে বাবুলের মেয়র হওয়ার সুযোগ থাকলেও কাজের নিরিখে ও জনপ্রিয়তার এগিয়ে ফিরহাদ হাকিম। তবে ৩৬ নং ওয়ার্ডের জন্য বাবুলের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এই আসনে আগে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন রাজেশ খান্না।
বাকি রয়েছে বেহালা পশ্চিমের ১১৯ মহিলা সংরক্ষিত এলাকা। সেখানেও কোনও বিশিষ্ট মহিলা প্রার্থী কিংবা তারকা চমক দেওয়া হবেই বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এই আসনে ছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর অশোকা মণ্ডল। তাঁকে আর প্রার্থী করা হয় নি বলেই জানা গিয়েছে।