নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য রাজনীতিতে কলকাতার(Kolkata) ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড(Brigade Parade Ground) হল শক্তি প্রদর্শনের জায়গা। কিবা শাসক, কিবা বিরোধী। সকলেই কাছেই ব্রিগেড হল নিজের সংঘবদ্ধ শক্তি তুলে ধরার জমি। তাই পরিবেশ দূষণের দোহাই দিয়ে ব্রিগেডের মাঠে বইমেলা বন্ধ করে দেওয়া হলেও ব্রিগেডের মাঠে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের সভা করা বন্ধ করার হিম্মত দেখায়নি কেউই। সেই ব্রিগেডেই এদিন উঠেছে জনগর্জন। লাখো মানুষের ভিড়ে গমগম করছে ব্রিগেড। সেই জনগর্জনে কাঁপছে কলকাতা। কাঁপছে বিরোধীরা। উঠছে শ্লোগান, ‘ওরে বিজেপি(BJP) দেখে যা তৃণমূলের ক্ষমতা’। রবি সকালে ব্রিগেডের মাঠেই হবে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) ‘জনগর্জন সভা’(Janaganrjan Sabha)। সেই সভার জন্য এদিন সকাল থেকেই কলকাতার সব রাস্তাই হয়ে গিয়েছে ব্রিগেডমুখী। একই সঙ্গে তৃণমূল উৎসবে সেজে উঠেছে গোটা শহর। রঙিন হয়ে উঠেছে ব্রিগেডও।
এদিন সকাল থেকেই হাওড়া, শিয়ালদা, কলকাতা স্টেশন থেকে হাজারো মানুষের অসংখ্য মিছিল পায়ে পায়ে এগিয়ে চলেছে ব্রিগেডের পানে। সেই মিছিলে যেমন আছেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকেরা, তেমনি আছেন মহিলা ও পুরুষেরা। বড়ভাবে নজর কাড়ছেন তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি বয়স্করাও। একই সঙ্গে শহর কলকাতার মোড়ে মোড়ে লাগানো হয়েছে অসংখ্য জায়েন্ট স্ক্রিন। শহরের বুকে শয়ে শয়ে বাসে করে আসছেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকেরাও। এই ব্রিগেডেই বিজেপির মদতে বসেছিল গীতাপাঠের আসর। কিন্তু সেই সভা যে জমবে না সেটা বুঝেই সভায় আসা বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সভা কার্যত সুপার ডুপার ফ্লপ করেছিল। পরে বামেদেরও ব্রিগেড হয়েছিল। কিন্তু তা ছিল শীত দুপুরের মিঠারোদের বৈঠক। কিন্তু তৃণমূলের ব্রিগেড এদিন সেই চেনা ব্রিগেড সভার ছবিটাই ফিরিয়ে এনেছে।
এদিন বেলা ১১টায় সভা শুরুর কথা থাকলেও সকাল ৯টা থেকেই কানায় কানায় ভর্তি হতে শুরু করে ব্রিগেডের মাঠ। পুলিশের অনুমান এদিন শহরে ব্রিগেডের সভার জন্য খুব কম করেও ৫ লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে চলেছে। আর তার জেরে শহরের রাস্তায় যান চলাচল বজায় রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশের কাছে। ইতিমধ্যেই হাওড়া স্টেশন ও শিয়ালদা স্টেশন থেকে ব্রিগেড মুখী রাস্তায় কার্যত যানবাহণ চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে মিছিলের চাপে। একই সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার দিক থেকে টালিগঞ্জ, রাসবিহারী ও হাজরা মোড়ের থেকে আসা মিছিলের জেরে সেইদিকেও রাস্তা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। অবরুদ্ধ দশা হয়েছে শ্যামবাজারের দিক থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ ধরে ধর্মতলার দিকে আসা রাস্তাও।