নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঘুম হারিয়েছে কলকাতায়। তিলোত্তমা এখন মেতেছে মাতৃদর্শনের রাত্রিযাপনে। রাতের কলকাতার এ যেন এক অন্য রূপ। মহালয়ার পর থেকেই পুজোগুলির উদ্বোধন শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। তৃতীয়া থেকেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। চতুর্থীর ভিড় টেক্কা দেয় পঞ্চমী। ষষ্ঠীর ভিড় ছাপিয়ে রেকর্ড গড়ল সপ্তমী। তবে অষ্টমী-নবমী হিসেব করলে এবছরের ঠাকুর দেখার ভিড় ছাড়িয়ে যেতে পারে বিগত বছরের রেকর্ডগুলিকে।
সপ্তমীর সকাল থেকে পুজোমণ্ডপগুলিতে ভিড় জমেছিল। তবে রাতের জনসমাগম সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছে। সকালে অনেক দর্শনার্থীর প্রতিক্রিয়া ‘‘যেন কোনও ছুটির দিন। রাস্তায় বেশি মানুষ নেই, গাড়িও খুব কম।’’ দুপুর ৩টের পর থেকে দৃশ্য বদলে গেল। তবে রাতের কলকাতায় ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক একটি বড় পুজোর প্রতিমা দর্শন করতে সময় লাগছে ঘণ্টারও বেশি।
সূর্য ডুবতেই পিঁপড়ের মত অগুনতি মানুষের ভিড়। অষ্টমী ও নবমীতে এই ভিড় বাড়বে বলেই ধারণা। উত্তরের পুজোর চাইতে দক্ষিণের পুজোগুলিতে ভিড়ের সংখ্যা নাজেহাল করার মত। ভিড়ের ঠেলা খেতে খেতে প্রতিমা দর্শনের জন্য এগোনো। বেশিরভাগই হোল নাইট ঠাকুর দেখে বেলা পর্যন্ত ঘুমোচ্ছে। ফের বেরিয়ে পড়ছে রাতে। এককথায় ষষ্ঠীকে ছয় গোল দিয়েছে সপ্তমীর ভিড়। অস্তমি-নবমীর ভিড় বলে বলে গোল দেবে তা বলাইবাহুল্য। শেষ কবে এই সংখ্যায় মানুষ ভিড় দেখেছে ভুলে গিয়েছেন অনেকে।