নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যজুড়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা আধার প্রতারণার ঘটনা এখন একেবারে স্তিমিত। অভিযোগের সংখ্যা কার্যত শূন্য। মাস্ক করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের সাইটও। সেখান থেকে নতুন করে আধার সংক্রান্ত কোনও তথ্য(Biometric Information) আর হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। সরকারের তরফেই Musk করা হয়েছে গ্রাহকের গোপন তথ্য। কিন্তু, জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের সাইট থেকে ইতিমধ্যেই ‘চুরি’ হয়ে যাওয়া Biometric-গুলি কি সুরক্ষিত? সেই সমস্ত তথ্য তো Dark World বা Cyber Crime’র সঙ্গে জড়িতদের হাতে চলে গিয়েছে। সেখান থেকে ফের প্রতারণা হবে না তো? এই চিন্তাই এখন জাঁকিয়ে বসেছে কলকাতা পুলিশের Cyber Crime’র সঙ্গে জড়িত তদন্তকারীদের মনে। আর তাই সেই সমস্ত ‘চুরি’ যাওয়া তথ্যই এবার Musk করতে উদ্যোগী হয়েছে লালবাজার(Kolkata Police)।
কলকাতা পুলিশের তথ্য বলছে, আধারের Biometric হাতিয়ে আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত শহরে মোট ৬৬টি কেস রুজু হয়। এই সমস্ত প্রতারণার নেপথ্যে ইসলামপুরের গ্যাং কাজ করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছিল লালবাজার। সেই গ্যাংয়ের অধিকাংশ সক্রিয় সদস্যই এখন লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল লকআপে বন্দি। এরপরেই কেসের সংখ্যা কমেছে। কলকাতা পুলিশের Cyber Crime বিভাগের তরফেও জানা গিয়েছে, পুজোর পর থেকে শহরে আধারের তথ্য হাতানোর একটি অভিযোগও জমা পড়েনি। কিন্তু, তাতেই খুব নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ আধিকারিকেরা। কারণ, যে সমস্ত Biometric ‘চুরি’ হয়ে গিয়েছে, সেগুলি তো আর Password দিয়ে বন্ধ করা নেই! ফলে তা খোলা অবস্থাতেই রয়েছে প্রতারকদের হাতেই। Social Media’র ক্ষেত্রে দেখা যায় কারও Profile Hack হলে সেখানে Password বদল করে সুরক্ষিত করা সম্ভব। তবে কোনও গ্রাহকের Biometric তথ্য অর্থাৎ তাঁর হাতের আঙুলের ছাপ ও চোখের রেটিনা বদল করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে এই সমস্ত ‘চুরি’ যাওয়া তথ্যগুলি এখন কী অবস্থায় রয়েছে, জানতে উদ্যোগী হয়েছে লালবাজার।
জানা গিয়েছে, ‘চুরি’ যাওয়া Biometric তথ্যগুলি এখন কী অবস্থায় রয়েছে তা জানতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকেরা। এই নিয়ে বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে একটি বৈঠকও হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত গ্রাহকের আধার প্রতারণা হয়েছে, তাদের আধার নম্বরগুলিকে চিহ্নিত করে সুরক্ষিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্তাদের নির্দেশ, ইসলামপুর সংক্রান্ত কেসে বাজেয়াপ্ত মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার হওয়া আধার নম্বরগুলিকেও Musk করতে হবে। তা কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, সাইবার বিভাগের অফিসাররাও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন।