নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার পদে বিশেষ কিছু প্রার্থী যাতে চাকরি পায় তার জন্য সুপারিশ করেছিলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ৩ বিধায়ক(TMC MLA), এমনই অভিযোগ উঠেছে। এই ৩জন হলেন অখিল গিরি(Akhil Giri), অসীম মাঝি(Ashim Majhi) ও মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়(Suvrangshu Roy)। যে সময়ে ওই সুপারিশ করা হয়েছিল তখন অখিল গিরি রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন না, কিন্তু ৩জনই বিধায়ক ছিলেন। আর এই বিষয়টি নিয়েই এবার কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। অভিযোগ, ওই ৩ জন বিধায়ক থাকা অবস্থায় নিজেদের লেটার হেডে নাম লিখে প্রাথমিকে চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুপারিশ করেছেন। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেখানেই ওই ৩ তৃণমূল বিধায়কের লেটারহেডে লেখা সুপারিশপত্র আদালতে পেশ করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। মামলাটি তিনিই করেছেন। ওইসব চিঠিতে চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘ নামের তালিকা রয়েছে বলে তাঁর দাবি।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার দীর্ঘ শুনানি হয়। এদিন সেই শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আরও মামলা চলছে। তাই এই মামলায় এদিন রায় দান করতে চাননি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তবে তৃণমূলের ৩ বিধায়কের সুপারিশপত্র চলে এসেছে প্রকাশ্যে। যদিও এই ঘটনায় ওই ৩ বিধায়কের বক্তব্য এখনও মেলেনি। তবে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, লেটার হেডের নাম থাকা মানেই সেই সুপারিশ কোনও বিধায়ক করেছেন এমনতা নয়। লেটারহেড চুরি করে বা তা ছাপিয়ে নিয়েও এই কাজ করা যায়। ঠিকঠাক তদন্ত হলে ঠিকই জানা যাবে রাজ্যের শাসকদলকে বদনাম করার জন্য কে বা কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠলেও সিবিআই এখনও কোনও প্রমাণ বার করতে পারল না যে তিনি তাঁর মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কিছু করেছেন। এমনকি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কোনও সদস্য, কর্মী বা পদাধিকারিকের বিরুদ্ধে সিবিআই কোনও প্রমাণও বার করতে পারল না। আসলে সবটাই তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা।